২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

দেশ গড়তে ঐক্যের বিকল্প নেই : মির্জা ফখরুল

সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - ছবি : নয়া দিগন্ত

দেশ গড়তে ঐক্যের বিকল্প নেই মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের মাঝে কেউ বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করছি করবো। এ সরকারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে। আমরাও সংস্কার চাই। তবে এদেশের সাধারণ মানুষ সংস্কার বুঝে না। তারা বুঝে মোটা চাল, আর মোটা কাপড়।’

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশে করে বলেন, ‘অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিন। আর কালক্ষেপণ করবেন না। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যাবো। দেশের উন্নয়ন ও শৃঙ্খলার জন্য একটি স্থিতিশীল সরকার জরুরি।’

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিকেলে লাকসাম উপজেলা, লাকসাম পৌরসভা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে লাকসাম স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এদেশকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিচার ব্যবস্থা, অর্থব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় সকল বিভাগ ধ্বংস করে গেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নিজেরা নিজেরা ভোট করে তারা সরকার গঠন করেছে। লাকসামের হিরু-হুমায়ুনসহ সাড়ে সাতশ নেতাদের গুম করা হয়েছে। তাদের সন্তানরা এখনো চোখের পানি ফেলছে। আওয়ামী লীগের আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে লাকসামের মানুষ। যারা অপকর্ম করে তারা এখানকার এমপি তাজুল ইসলামের মতো, শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।’

জনসভায় প্রধান বক্তা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিএনপি মেনে নেবে না। একাত্তরে শেখ মুজিব পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপন করে। ওই ক্রান্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশের হাল ধরেন। শেখ মুজিবের পরিবারের কেউ এবং আওয়ামী লীগের কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে থাকলে আমি হিজরত করে চলে যাবো। যারা মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করে না তারা এদেশে ভোট চাওয়ার অধিকার রাখে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ থাকবে না। দল যাকে মনোনয়ন দিবে ধানের শিষের পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে।’

লাকসাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মো: আবুল কালামের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লা-৯ আসনের সাবেক এমপি কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত এম আনোয়ারুল আজিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো: কফিল উদ্দিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমীর, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ সুলতান খোকন, লাকসাম উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুর রহমান বাদল, মনোহরগঞ্জ বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ ইলিয়াস পাটোয়ারী, লাকসাম পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মো: আবুল হাশেম মানু, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. নূর উল্লাহ রায়হান, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ মজির আহমদ, নবাব ফয়জুন্নেছার বংশধর আয়াজ আলী চৌধুরী, গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হিরুর ছেলে রাফসান ইসলাম, হুমায়ুন কবির পারভেজের ছেলে শাহরিয়ার কবির রাতুল।

এছাড়া লাকসাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো: শাহ আলম, মোশারফ হোসেন মুশু ও পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব বেলাল রহমান মজুমদারের পরিচালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভুইয়া, কুমিল্লা বিভাগীয় সম্পাদক অধ্যক্ষ সিলিম ভূইয়া, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হাসান মাহবুব শ্যামল, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সরকার, সদস্য সচিব এ এফ তারেক মুন্সী, লাকসাম উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহমান বাদল, লাকসাম পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হাশেম মানু, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সরওয়ার ভুইয়া জাহান দোলন প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement