জুলাই আন্দোলনে খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জড়িত : মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসিচব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তাকে এ দায় নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধ ও বিভাজনের রাজনীতি। তিনি তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে খেলাফত মজলিস কুমিল্লা জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মামুনুল হক বলেন, বিবেকবান মানুষ চিন্তা করলে দেখবেন জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছেন, আগামী ১০০ বছরেও মানুষ আওয়ামী লীগের নাম নিতে লজ্জা পাবে।

তিনি বলেন, মসনদ টিকবে না জেনেই শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছেন। দলের নেতা কর্মীদের কথা চিন্তা করেননি। তিনি চিন্তা করেছেন শুধু তার পরিবারের কথা। নিজের ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের লোকজনদের আগেই বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, শেখ হাসিনা যুবলীগকে ‘হাতুড়ি লীগ’ বানিয়েছেন। আর ছাত্রলীগকে বানিয়েছেন ‘হেলমেট লীগ’। তিনি তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আমার দেশের দামাল ছেলেদের বুকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার দলকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। গুম-খুনের জন্য তার দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই কথা শুধু আমাদের নয়, আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসঙ্ঘের রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে।

খেলাফত মজলিস কুমিল্লা পূর্ব জেলার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আফজালুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি কামরুজ্জামান সোহেল।

আরো বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন, চাঁদপুর জেলা সভাপতি মাওলানা লেয়াকত হোসাইন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা মামুনুর রশিদ, কুমিল্লা পশ্চিম জেলার সভাপতি মাওলানা আবু ইউসুফ মুন্সী, কুমিল্লা মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা সোলাইমান। গণসমাবেশ সঞ্চালনা করেন মাওলানা ইমাম হোসাইন।