১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৫ শাবান ১৪৪৬
`

‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় জামায়াত’

- ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও বান্দরবান জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এসএম আবদুস সালাম আজাদ বলেছেন, ‘২৪-এর গণআন্দোলনের রক্তের ওপর এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গোটা জাতির ঘাড়ে বসা ভয়ঙ্কর ফ্যাসিস্টের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে দেশবাসী প্রার্থনা করেছিল, সেই ফ্যাসিস্টের বিদায় হয়েছে। জামায়াত এদেশের মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিস্টকে চায় না। আর বাংলার মাটিতে খুনি, ধর্ষক ফ্যাসিস্টকে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। এই ফ্যাসিস্ট জাতীয় সত্ত্বাকে ভারতের হাতে বিলিয়ে দিয়েছিল।‘

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে আলীকদম উপজেলার নয়াপাড়ার চৌরাস্তার মোড়ে ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মী ও সহযোগী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়াও সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবুল কালাম।

এসএম আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ‘জামায়াত যখন বললো যে ফ্যাসিস্ট গত ১৬ বছর নির্বাচন করতে দেয়নি, তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তখন আমাদের একটি রাজনৈতিক দলের বন্ধুরা বললো আপনারা নিষিদ্ধ করার কে। যখন বলা হলো রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে বিদায় করতে হবে। তখন তারা বললো আমরা চুপ্পুর বিদায় চাই না। যখন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি উঠলো তারা বললো ইসকনকে নিষিদ্ধ করা যাবে না। যারা জাতীর চিন্তা এবং চেতনার বাইরে গিয়ে কথা বলেন তাদের পরিণতি ফ্যাসিস্টের পরিণতির চেয়ে ভয়ঙ্কর হবে।‘

জেলা আমির আরো বলেন, ‘জামায়াত নেতা নিজামী, মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান ও মীর কাশেম আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চিকিৎসার নামে হত্যা করা হয়েছে। আয়না ঘরে মানুষ যারা বছরের পর বছর মানুষ বন্ধি করে রেখেছিল তাদের বিচার চাই। হেফাজতের আলেম-ওলামা নির্যাতনকারী, পিলখানা হত্যাযজ্ঞ ও সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকারীর বিচার করতে হবে। আগে এসবের বিচার করতে হবে। তার আগে নির্বাচনের নামে কোনো তামাশা করতে দেয়া যাবে না। জাতীয় নির্বাচনের আগে জামায়াত স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। সংস্কার এবং স্থানীয় নির্বাচন একই সাথে চলবে। প্রভাবমুক্তভাবে আগে মেম্বার-চেয়ারম্যানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে মানুষ নির্দ্ধিধায় ভোট দিতে পারবে। জাতীয় সরকার গঠিত হলে এমপিরা স্থানীয় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করবে।‘

কর্মী ও সহযোগী সম্মেলনের প্রধান বক্তা অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবুল কালাম আরো বলেন, ‘শত জেল-জুলুমের পরেও জামায়াতকে ফ্যাসিস্ট সরকার নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। বরং জামায়াত দ্বিগুণ শক্তিতে আবির্ভূত হয়েছে। জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করতে জামায়াত নেতাদের বিচারের নামে অবিচারের মাধ্যমে প্রহসনের আদালত বসিয়ে ফাঁসির কাস্টে জুলিয়ে শহীদ করা হয়েছে। জেল হাজতের কুটুরীতে রেখে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে কুরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী ও গোলাম আযমকে হত্যা করা হয়েছে।‘

উল্লেখ্য, নয়াপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মুরাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা তাজ, বান্দরবান জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক আহমেদ, শিক্ষক ফেডারেশনের বান্দরবান জেলা সভাপতি অধ্যাপক হামেদ হাসান, জামায়াতের আলীকদম উপজেলা আমির মাশুক এলাহী, লামা উপজেলা আমির কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম, জামায়াতের আলীকদম উপজেলা সেক্রেটারি মো: সাদেক মিয়া, আলীকদম উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ডা. চৌধুরী ইউনুস আহমেদ সোহান, আলীকদম উপজেলা জামায়াদের সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হক, জামায়াতের আলীকদম ইউনিয়ন সভাপতি মাহমুদুল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনে উপজেলা সভাপতি আবু সুফিয়ান ও শিবিরের আলীকদম উপজেলা সভাপতি মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement