চুয়েটের হল থেকে ছাত্রলীগের ১৮ নেতাকর্মী বহিষ্কার, ৩ জনকে শোকজ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৩৮
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19690654_135.jpg)
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আবাসিক হল থেকে ছাত্রলীগের ১৮ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে আরো তিনজনকে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির ২৮১তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চুয়েট স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্র কল্যাণ অধিদফতর পরিচালক স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশে বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর বিষয়টি জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এবং এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী এবং জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে এই ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আবাসিক হল থেকে বহিষ্কৃত ১৮ নেতা হলেন- সহ-সভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো: ইমাম হোসেন, মো: সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আব্দুল্লাহ রনি, মো: তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ সম্রাট ও শাকিল ফরাজী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান, সৌমিক জয়, তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান জাহিদ, মো: রিফাত হোসাইন, মইনুল হক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মুন্না, ইরফানুল করিম তোহা, আশিকুল ইসলাম, তাহসিন ইশতিয়াক ইফতি, আব্দুর রহমান জিহাদ।
এছাড়াও চুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সহ-সভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: রাকিব উদ্দিন চৌধুরীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বহিষ্কার ও মদপানে অভিযুক্ত চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক শাফকাত আর রুম্মানের শাস্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি রাতের মধ্যে অভিযুক্তদের হল বহিষ্কার ও অভিযোগ প্রমাণ হওয়া সাপেক্ষে তাদের একাডেমিক বহিষ্কার করার ঘোষণা দিলে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্তদের আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার ও কারণ দর্শাতে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ও অভিযোগকারীদের সাক্ষাৎকার শেষে স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটি সভায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে ন্যূনতম এ শাস্তি দিয়েছে।
পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কেন আরো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টার মধ্যে তাদেরকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরবর্তীতে তাদের জবাব ও তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ হওয়া সাপেক্ষে তাদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী তাদেরকে একাডেমিক বহিষ্কার করা হবে।
ছাত্রহলে শিক্ষার্থীদের সাথে মদপানে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় গঠিত পূর্ববর্তী তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় সিন্ডিকেট অধিকতর তদন্তের জন্য আরেকটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছেন। সে কমিটির কাজ চলমান রয়েছেন।
সূত্র : বাসস