০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ৭ শাবান ১৪৪৬
`

সোনাগাজীতে জাতীয় পার্টি ও যুবলীগ নেতার বাড়িতে আগুন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ফেনীর সোনাগাজীতে সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সেনা কর্মকর্তা লে: জেনারেল (অব:) মাসুদ উদ্দিন চেীধুরী ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরনের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুলাখালী গ্রামের আরু মিয়ার বাড়ি ও টিটি খোনার বাড়ির ঘরগুলোতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় ছাত্র-জনতা।

স্থানীয়রা জানায়, ওই দিন রাতে হাজার হাজার বিক্ষুদ্ধ জনতা একত্রিত হয়ে স্লোগান দিয়ে প্রথমে সুলাখালী গ্রামের সাবেক সেনা কর্মকর্তা মাসুদ চৌধুরীর পৈত্রিক বাড়িতে তার ডুপ্লেক্স করা দুইতলা বিল্ডিংয়ে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘরের ভেতরে কেউ না থাকায় ঘরের আসভাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

স্থানীয়রা আরো জানায়, ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর থেকে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও তার পরিবার বাড়িতে না এলেও ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে ছাত্র-জনতার একই গ্রুপ সেখান থেকে ওই গ্রামের আরু মিয়া বাড়িতে এসে ফেনীর সাবেক রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ কর্তা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নানা ছাগল কাণ্ডের এনবিআর কর্মকর্তা মতিউরের রহমানের শ্বশুরের ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। একই সময়ে পাশে থাকা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরনের ঘরে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে চলে যায় ছাত্র-জনতা।

প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে ঘরগুলো ভুস্মিভূত হওয়ার আগে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। ঘরগুলো ৫ই আগষ্টের পর থেকে তালা ঝুলানো থাকায় লোকজন না থাকায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আজিজুল হক হিরন ৫ আগষ্টের পর সপরিবারে ইউরোপ চলে গেছেন বলেও জানা গেছে।

ছাত্র-জনতার অভিযোগ, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ১/১১-এর খলনায়ক। তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের একজন দালাল ছিলেন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বাস্তবায়নে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। আর যুবলীগ সভাপতি আজিজুল হক হিরন ৪ আগষ্টে ফেনীর মহিপালে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং ওই দিন নিজাম হাজারীর নির্দেশে ছাত্র-জনতার উপর প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে নয়জনকে হত্যার করা হয়েছিল।

সোনাগাজী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়জিদ আকন্দ জানান, ‘বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহতের খবর পাইনি। ঘরগুলো পরিত্যক্ত ছিল।

উল্লেখ্য, সোনাগাজীতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির মহাসমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বক্তব্য দিতে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা লে: জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর ১/১১-এর ভূমিকা এবং তারেক জিয়াকে মেরে মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার অভিযোগসহ কঠোর সমালোচনা করে বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানানোর পর থেকে সোনাগাজীতে মাসুদের বিষয়ে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, তারই ধারাবাহিকতায় ওই দিন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।


আরো সংবাদ



premium cement