০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১, ৫ শাবান ১৪৪৬
`

মুরাদনগরে সম্পত্তির জেরে টেঁটা বিদ্ধ করে ভাতিজিকে হত্যাচেষ্টা

মুরাদনগরে সম্পত্তির জেরে টেঁটা বিদ্ধ করে ভাতিজিকে হত্যাচেষ্টা - ছবি : নয়া দিগন্ত

কুমিল্লা মুরাদনগরে সম্পত্তির জেরে আপন ভাতিজি হোসনা আক্তারকে (৩৫) টেঁটা বিদ্ধ করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চাচা মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার সময় হোসনা আক্তারের বোনের মেয়ে আফসানা আক্তার লিজাও টেঁটা বিদ্ধ হন।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সদর ইউনিয়নের হিরারকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন রাতেই হোসনা আক্তারের বোন আছমা বেগম মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

হোসনা আক্তার মজিবুর রহমানের ভাই লিল মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেন মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুর রহমান।

স্থানীয় ও পারিবার সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে মৃত্যু হয় লিল মিয়ার। এর আগে লিল মিয়া তার স্ত্রী জামেনা বেগমের নামে বাড়ির জায়গা দলিল করে দেন। লিল মিয়ার মৃত্যুর পর ভাই মজিবুর বাড়িটি দখল করার জন্য বিভিন্ন সময় জামেনা বেগমের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছেন। ঘটনার দিন জামেনা বেগম নিজের বাড়ির জায়গায় লাকড়ি শুকাতে দিলে এটি তার জায়গা নয় বলে মজিবুর রহমান, তার স্ত্রী রহিমা বেগম, ছেলে আনিছুর রহমান, মেয়ে ডালিয়া আক্তার জামেনা বেগমকে বাধা দেন এবং গালমন্দ করতে থাকে। এতে জামেনা বেগম প্রতিবাদ করলে মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানরা ক্ষিপ্ত হয়ে জামেনা বেগমকে মারধর করতে থাকেন।
তারা আরো জানায়, জামেনা বেগমের আর্তচিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী শ্বশুরবাড়ি থেকে জামেনা বেগমের মেয়ে হোসনা আক্তার ও নাতনি আফসানা আক্তার লিজা তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে মজিবুর রহমান ঘর থেকে মাছ শিকারের টেঁটা এনে আফসানা আক্তার লিজাকে আক্রমণ করেন, লিজাকে বাঁচাতে গিয়ে হোসনা আক্তারের হাতে টেঁটা বিদ্ধ হয়। টেঁটা হোসনা আক্তারের হাতের একপাশ দিয়ে ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এ সময় আফসানা আক্তার লিজার হাতেও টেঁটা বিদ্ধ হয়। এলাকাবাসী টেঁটা বিদ্ধ অবস্থায় হোসনা আক্তারকে এবং আহত লিজা ও জামেনা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আফসানা আক্তার লিজা ও জামেনা বেগমকে চিকিৎসা দেয়া হলেও হোসনা আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আহত আফসানা আক্তার লিজা বলেন, ‘আমার নানার মৃত্যুর পর বাড়িটি দখল করার জন্য এর আগেও মজিবুর রহমান কয়েকবার আমার নানিকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার মা-খালারাও মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আজ মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েরা আমার নানি ও আমাদেরকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আমরা এই মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী ছেলেমেয়েদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।’

ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই দু’জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’


আরো সংবাদ



premium cement