০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১, ১ শাবান ১৪৪৬
`

পুলিশ হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু : বিচার দাবিতে মানববন্ধন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

আজ শনিবার দুপুরে নিহত তৌহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে লাশ কুমিল্লা প্রেসক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়।

মানববন্ধনে বিচার দাবিতে বক্তব্য রাখেন নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী কোনো সন্ত্রাসী ছিল না। তাকে কেন এভাবে মারা হলো। আমি চার সন্তান নিয়ে বিধবা হলাম।’

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন তৌহিদুলের সাথে আটক করা প্রতিবেশী লুৎফুর রহমান। তিনি বলেন, ‘তৌহিদকে এমনভাবে নির্যাতন করা হয়েছে যে উঠে দাঁড়াতে পারেনি।’

মানববন্ধনে তৌহিদুলের ভাগ্নি গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর মাহবুবা উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দফায় দফায় আমরা কুমিল্লা সেনানিবাসের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনার সাথে জড়িতদের সেনা আইনে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা যদি ন্যায় বিচার না পাই তাহলে বিধি অনুসারে আইনগত পদক্ষেপ নেব।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর শাখার সদস্য সচিব রাশেদুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমরা এ বিষয়ে অনেকের সাথে কথা বলেছি, সেনাবাহিনী জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে জনতার সাথে সু-সম্পর্ক রেখে দেশের জন্য কাজ করেছে। এভাবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির মৃত্যু আমাদের কষ্ট দেয়। আশা করি, ওই ব্যক্তির পরিবার এর বিচার পাবে।’

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যৌথবাহিনীর পরিচয়ে কিছু সেনা সদস্য ও সিভিলে থাকা ব্যক্তি তৌহিদকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়। তিনি জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মরহুম মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি শিপিং কোম্পানিতে চাকরি করতেন। চার দিন আগে বাবা মারা যাওয়ার খবরে তিনি বাড়ি এসেছিলেন।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাকে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশে হস্তান্তর করার পর কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement