০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১, ১ শাবান ১৪৪৬
`
চট্টগ্রামে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের সমাপনী দিনে

কোরআনের আদেশ মেনে চললে সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ গড়া সম্ভব : মিজানুর রহমান আজহারী

মাহফিলের সমাপনী দিনে আলোচনা পেশ করছেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। - ছবি : নয়া দিগন্ত

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, ‘আল্লাহ কোরআনে তিনটি আদেশ ও তিনটি নিষেধ করেছেন। আদেশ তিনটি হল ন্যায়বিচার করা, একে অপরকে সম্মান করা ও নিকট আত্মীয়দের সম্পর্ক ছিন্ন না করা। আর তিনটি নিষেধ হলো অশ্লীলতায় না জড়ানো ও ইচ্ছাকৃত মন্দ বা অসৎ কাজে না জড়ানো ও সীমালঙ্ঘন না করা। এই আদেশ নিষেধ মেনে নিতে পারলে আমাদের সমাজ সুখী, সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠবে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে ঐতিহাসিক প্যারেড ময়দানে (শহীদ রজব আলী ময়দান) ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের পঞ্চম দিনে প্রধান মুফাসসিরের আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

এ সময় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর স্মৃতিচারণ করে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বিনা অপরাধে জেলে বন্দি রেখে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দেয়া হয়েছে। আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুক।’

ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা খাইরুল বাশারের সঞ্চালনায় ও ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মাওলানা শামীম সাঈদী। এছাড়া আরো বক্তব্য দেন মাওলানা বি এম মফিজুর রহমান, মাওলানা মুনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুজাহিদুল ইসলাম, বিআইএ জামে মসজিদের খতিব সাফওয়ান বিন হারুন আজহারি, অলি খাঁ মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান, বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক তাওহীদুল হক মিজবাহ।

মাহফিলে আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসেন তাহের জাবিরী আল মাদানী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম প্যারেড ময়দান বিশ্ব নন্দিত মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা সাঈদীর স্মৃতিবিজড়িত ময়দান। আমরা কোরআনের ছায়াতলে এক ও অভিন্ন। যেকোনোভাবে আমাদের এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। মতবিরোধ নিয়েই আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। সব ধরনের ইসলামী দলগুলোর মধ্যে যদি আমরা ঐক্য ধরে রাখতে পারি তাহলে দেশ থেকে দুর্নীতি, লুটপাট ও চাঁদাবাজি, গুম, খুন দূর করতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘১৬ বছরের জঞ্জাল ছয় মাসে দূর করা সম্ভব না কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি সংস্কারের মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য। আমরা আগামীতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবো। এদেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দেশে যদি সুখ শান্তি ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই তাহলে কোরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নাই।’

ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সরকার। আপনারা হতাশ হবেন না। আমরা আপনাদের সাথে আছি। চট্টগ্রামের জনগণও আপনাদের সাথে আছে। তিনি কওমি ও সরকারি নিছাবের আলেমদের ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানান।’

এছাড়া চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উন্নয়নের সরকারি সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। ইবাতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের দাবি এবং মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিমদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে সরকারিভাবে বেতন প্রদানের জন্য জোর দাবি জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শামীম সাঈদী বলেন, ‘আল্লামা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীকে ১৩ বছর জেলে জালেম শাসকেরা শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তারা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। আমরা সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি। কোরআনের রাজ কায়েম করার জন্য আল্লামা সাঈদী দেশের আনাচে কানাচে গিয়েছেন। কোরআনের রাজ কায়েম করতে যদি আমাদের মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয় আমরা সেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবো।’

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক তাওহীদুল হক মিজবাহ বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা মানুষকে রক্তপিণ্ড থেকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তায়ালা মানব ও জিন জাতিকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। নবী রাসূলদেরকে জমিনের মধ্যে দ্বীন কায়েমের জন্য আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়েছেন। আর আমাদেরকে নবী রাসূলগণের ওয়ারিশ বানিয়েছেন। আমাদেরকেও আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা করতে হবে।’

বিশিষ্ট ওয়ায়েজ সাফওয়ান বিন হারুন আজহারি বলেন, ‘আমরা ধর্ম ব্যবসা করি না। ধর্মীয় অনুশাসনের ভিত্তিতে রাজনীতি করি। ইসলামকে ছাড়া রাষ্ট্র বাঁচতে পারে না। আর রাষ্ট্রকে ছাড়া ইসলাম বাঁচতে পারে না। তাই রাজনীতি আর ইসলাম সমান্তরাল।’

বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ‘ইসলাম বিরোধী শক্তি রাসুলকে সা: বিভিন্নভাবে দ্বীনের দাওয়াত না দেয়ার জন্য বাঁধা দিয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর রাসূল শত বাঁধা, যুদ্ধ পেরিয়ে ইসলামের কোনো একটা আইনকে অস্বীকার করলে ইমান থাকে না। আল্লাহর সকল বিধানের সাথে একনিষ্ঠভাবে ঐক্যমত পোষণের নাম হলো ইমান।’

মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের এন্তেজামিয়া কমিটির পৃষ্ঠপোষক মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, সাবেক এমপি আইআইউসির সাবেক প্রো ভিসি ড. প্রফেসর আবু বকর রফিক আহমদ, অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ মির্জা, আবুল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুল হক, মাওলানা হারুনুর রশিদ, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, মাওলান এ বি এম সিদ্দিকুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, অধ্যাপক আব্দুল আলিম, আলাউদ্দিন সিকদার, অধ্যক্ষ বদরুল হক, অধ্যক্ষ আ ন ম সলিমুল্লাহ, আফছার উদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর ড. শামীম উদ্দিন, প্রফেসর মাহবুবুর রহমান, ড. প্রসেফর আতহার উদ্দিন, সাংবাদিক মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সল মুহাম্মদ ইউনুস, মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, মাওলানা মমতাজুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সেলিম উল্লাহ জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস শাকুর ও মাওলানা মাহমুদুল হক, ছাত্রনেতা শহীদুল ইসলাম, আলাউদ্দিন আবির, ডা: সাদেক আব্দুল্লাহ, তানভীর হোসেন জুয়েল, মুহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন রনি, মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, আমিরুল ইসলাম তুহিন, শওকত আলী, আব্দুর রহিম, প্রমুখ।

তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের সভাপতি ও ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘পাঁচ দিনব্যাপী মাহফিল সফল করায় দেশবাসীকে মোবারকবাদ জানান। মাহফিলে দায়িত্ব পালনকারী স্বেচ্ছাসেবক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী, সাংবাদিক ও সমাজকল্যাণের কর্মকর্তা-কর্মচাারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং তিনি সকলের ত্যাগ ও কোরবানিকে কবুল করার জন্য আল্লাহ কাছে তৌফিক কামনা করেন।’

মাহফিলে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন পাঞ্জেরি ও চট্টলা শিল্পীগোষ্ঠী। মাহফিলে শহীদ আল্লামা সাঈদীর স্মরণে কবিতা পাঠ করেন কবি সুলতান আহমদ।

মাহফিলের সমাপনী দিনে আলোচনা পেশ করছেন ড. মিজানুর রহমান আজহারি।আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, ‘আল্লাহ কোরআনে তিনটি আদেশ ও তিনটি নিষেধ করেছেন। আদেশ তিনটি হল ন্যায়বিচার করা, একে অপরকে সম্মান করা ও নিকট আত্মীয়দের সম্পর্ক ছিন্ন না করা। আর তিনটি নিষেধ হলো অশ্লীলতায় না জড়ানো ও ইচ্ছাকৃত মন্দ বা অসৎ কাজে না জড়ানো ও সীমালঙ্ঘন না করা। এই আদেশ নিষেধ মেনে নিতে পারলে আমাদের সমাজ সুখী, সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠবে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে ঐতিহাসিক প্যারেড ময়দানে (শহীদ রজব আলী ময়দান) ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের পঞ্চম দিনে প্রধান মুফাসসিরের আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

এ সময় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর স্মৃতিচারণ করে মিজানুর রহমান আজহারি বলেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বিনা অপরাধে জেলে বন্দি রেখে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দেয়া হয়েছে। আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুক।’

ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা খাইরুল বাশারের সঞ্চালনায় ও ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মাওলানা শামীম সাঈদী। এছাড়া আরো বক্তব্য দেন মাওলানা বি এম মফিজুর রহমান, মাওলানা মুনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুজাহিদুল ইসলাম, বিআইএ জামে মসজিদের খতিব সাফওয়ান বিন হারুন আজহারি, অলি খাঁ মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান, বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক তাওহীদুল হক মিজবাহ।

মাহফিলে আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসেন তাহের জাবিরী আল মাদানী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম প্যারেড ময়দান বিশ্ব নন্দিত মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা সাঈদীর স্মৃতিবিজড়িত ময়দান। আমরা কোরআনের ছায়াতলে এক ও অভিন্ন। যেকোনোভাবে আমাদের এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। মতবিরোধ নিয়েই আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। সব ধরনের ইসলামী দলগুলোর মধ্যে যদি আমরা ঐক্য ধরে রাখতে পারি তাহলে দেশ থেকে দুর্নীতি, লুটপাট ও চাঁদাবাজি, গুম, খুন দূর করতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘১৬ বছরের জঞ্জাল ছয় মাসে দূর করা সম্ভব না কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি সংস্কারের মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য। আমরা আগামীতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবো। এদেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দেশে যদি সুখ শান্তি ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই তাহলে কোরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নাই।’

ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সরকার। আপনারা হতাশ হবেন না। আমরা আপনাদের সাথে আছি। চট্টগ্রামের জনগণও আপনাদের সাথে আছে। তিনি কওমি ও সরকারি নিছাবের আলেমদের ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানান।’

এছাড়া চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উন্নয়নের সরকারি সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। ইবাতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের দাবি এবং মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিমদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে সরকারিভাবে বেতন প্রদানের জন্য জোর দাবি জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শামীম সাঈদী বলেন, ‘আল্লামা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীকে ১৩ বছর জেলে জালেম শাসকেরা শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তারা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। আমরা সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি। কোরআনের রাজ কায়েম করার জন্য আল্লামা সাঈদী দেশের আনাচে কানাচে গিয়েছেন। কোরআনের রাজ কায়েম করতে যদি আমাদের মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয় আমরা সেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবো।’

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক তাওহীদুল হক মিজবাহ বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা মানুষকে রক্তপিণ্ড থেকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তায়ালা মানব ও জিন জাতিকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। নবী রাসূলদেরকে জমিনের মধ্যে দ্বীন কায়েমের জন্য আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়েছেন। আর আমাদেরকে নবী রাসূলগণের ওয়ারিশ বানিয়েছেন। আমাদেরকেও আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা করতে হবে।’

বিশিষ্ট ওয়ায়েজ সাফওয়ান বিন হারুন আজহারি বলেন, ‘আমরা ধর্ম ব্যবসা করি না। ধর্মীয় অনুশাসনের ভিত্তিতে রাজনীতি করি। ইসলামকে ছাড়া রাষ্ট্র বাঁচতে পারে না। আর রাষ্ট্রকে ছাড়া ইসলাম বাঁচতে পারে না। তাই রাজনীতি আর ইসলাম সমান্তরাল।’

বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ‘ইসলাম বিরোধী শক্তি রাসুলকে সা: বিভিন্নভাবে দ্বীনের দাওয়াত না দেয়ার জন্য বাঁধা দিয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর রাসূল শত বাঁধা, যুদ্ধ পেরিয়ে ইসলামের কোনো একটা আইনকে অস্বীকার করলে ইমান থাকে না। আল্লাহর সকল বিধানের সাথে একনিষ্ঠভাবে ঐক্যমত পোষণের নাম হলো ইমান।’

মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের এন্তেজামিয়া কমিটির পৃষ্ঠপোষক মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, সাবেক এমপি আইআইউসির সাবেক প্রো ভিসি ড. প্রফেসর আবু বকর রফিক আহমদ, অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ মির্জা, আবুল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুল হক, মাওলানা হারুনুর রশিদ, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, মাওলান এ বি এম সিদ্দিকুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, অধ্যাপক আব্দুল আলিম, আলাউদ্দিন সিকদার, অধ্যক্ষ বদরুল হক, অধ্যক্ষ আ ন ম সলিমুল্লাহ, আফছার উদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর ড. শামীম উদ্দিন, প্রফেসর মাহবুবুর রহমান, ড. প্রসেফর আতহার উদ্দিন, সাংবাদিক মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সল মুহাম্মদ ইউনুস, মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, মাওলানা মমতাজুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সেলিম উল্লাহ জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস শাকুর ও মাওলানা মাহমুদুল হক, ছাত্রনেতা শহীদুল ইসলাম, আলাউদ্দিন আবির, ডা: সাদেক আব্দুল্লাহ, তানভীর হোসেন জুয়েল, মুহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন রনি, মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, আমিরুল ইসলাম তুহিন, শওকত আলী, আব্দুর রহিম, প্রমুখ।

তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের সভাপতি ও ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘পাঁচ দিনব্যাপী মাহফিল সফল করায় দেশবাসীকে মোবারকবাদ জানান। মাহফিলে দায়িত্ব পালনকারী স্বেচ্ছাসেবক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী, সাংবাদিক ও সমাজকল্যাণের কর্মকর্তা-কর্মচাারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং তিনি সকলের ত্যাগ ও কোরবানিকে কবুল করার জন্য আল্লাহ কাছে তৌফিক কামনা করেন।’

মাহফিলে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন পাঞ্জেরি ও চট্টলা শিল্পীগোষ্ঠী। মাহফিলে শহীদ আল্লামা সাঈদীর স্মরণে কবিতা পাঠ করেন কবি সুলতান আহমদ।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল