নোয়াখালীর মুছাপুর রেগুলেটর পুনঃনির্মাণের দাবি
- মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, নোয়াখালী অফিস
- ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:২৫
ফেনীর মুহুরী নদীর উজান ও বন্যার পানিতে ভেঙে তলিয়ে যাওয়া নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বসুরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এই দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নোয়াখালী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, চরপার্বতী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনছারী, চরপার্বতী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ আল হারুন, বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমির মাওলানা মোশারেফ হোসেন, চরহাজারী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, আমেরিকা প্রবাসী বিএনপি নেতা মোরছালীন শামীম, চরহাজারী হাফেজিয়া পাড়া কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো: আলী ডালিম, সেক্রেটারি গোলাম আযম, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মো: নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীমের গাফিলতিতে মুছাপুর রেগুলেটর নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই। মুছাপুর রেগুলেটর বিলীন হওয়ায় শত শত বাড়িঘর নদীতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতশত হেক্টর ফসলি জমি। রেগুলেটরের বিলীনের জন্য অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকে দায়ী করে বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মির্জার শাস্তি দাবি করেন। মুছাপুর রেগুলেটর নির্মাণে কালক্ষেপণ করা হলে এসি রুমে ডিসি-ইউএনও চেয়ারে বসে থাকতে পারবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি) খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘শুধু অভিযোগ করলে হবে না। কাজটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্টাডি করছে, কাজ চলছে। এক দিনে তো কাজ হবে না।’