দুর্বৃত্তরা গুজব ছড়িয়ে চট্টগ্রাম ইপিজেডকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে : সিএমপি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৩১
দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা প্রচার ও গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকাকে (সিইপিজেড) অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
শনিবার (২৪ জানুয়ারি) সিএমপির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) মো: রইছ উদ্দিন।
এর আগে গত বুধবার রাতে সিইপিজেডে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ভেতরে যাওয়ার পর তিন শিশু নিখোঁজের গুজব ছড়িয়ে ওই ভবনের নির্মাণ শ্রমিকদের সাথে পোশাকশ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে ওই তিন শিশুকে হাজির করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে মো: রইছ উদ্দিন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কুচক্রী মহল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইচ্ছাকৃত গুজব ছড়িয়ে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তুলে ইপিজেডে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এর সাথে বহিরাগতরাও যুক্ত হচ্ছে।’
ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘গত বুধবার রাতে সিইপিজেডের ২ নম্বর সড়কে শেলটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ভেতরে তিন শিশু প্রবেশ করে। পরে তাদের মেরে ফেলা হয়েছে বলে গুজব রটে। ওই গুজব ছড়িয়ে পড়লে পাশে থাকা পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।’
পরে ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানার ২০০ থেকে ২৫০ শ্রমিক নির্মাণাধীন ভবনে প্রবেশ করে শ্রমিকদের ঘর, অফিস ভাঙচুরসহ দু’টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
খবর পেয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উপ-কমিশনার বলেন, ‘যে তিন শিশুকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছিল, সেই তিনজন শিশুকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। বর্তমানে তারা পুলিশের তত্ত্বাবধানে নিজ নিজ অভিভাবকের জিম্মায় আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পষ্ট বার্তা হচ্ছে, কোনো রকম মিথ্যা প্রচারণা ও গুজবে কান দেবেন না, রাষ্ট্রের ক্ষতি করবেন না, রাষ্ট্রের ক্ষতি মানে আমাদের সকলের ক্ষতি। সিইপিজেড আমাদের সকলের সম্পদ। সুতরাং, গুজবে কান দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করবেন না।’
এ সময় সবাইকে গুজব প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা