দেবিদ্বারে অসহায় মা ও মেয়ের পাশে ইউএনও নিগার সুলতানা
- মো: ফখরুল ইসলাম সাগর, দেবিদ্বার (কুমিল্লা)
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:২২
কুমিল্লার দেবিদ্বারে স্বামীর ভিটা হারিয়ে দু’মেয়েকে নিয়ে গোমতীর চরে মানবেতর জীবন যাপন করা রাবেয়া বেগমের পাশে দাঁড়ালেন দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা। সম্প্রতি রাবেয়ার দুঃখ-দুর্দশার সংবাদ পেলে প্রশাসনের নজরে আসে বিষয়টি।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ওই নারীর পাশে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা।
নিগার সুলতানা তাকে আর্থিক অনুদান ও তিনটি কম্বল প্রদান করেন। এ সময় তিনি রাবেয়াকে বিধবাভাতা এবং দু’মেয়ের লেখা-পড়াসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আশরাফুল ইসলাম, মো: জামাল হোসেন, মো: সফিকুল ইসলাম, সমাজকর্মী বি এইচ সাজিবসহ গণমাধ্যম কর্মীরা।
রাবেয়া জানান, স্বামীর চিকিৎসা করতে গিয়ে ঘরের ভিটাটা বিক্রি করতে হয়েছে। তার মৃত্যুর পর তাদের উচ্ছেদ করে দেয়া হলে কোথাও ঠাঁই না পেয়ে গোমতী চরে এসে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় দু’টি চালা দাঁড় করিয়ে দু’মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছে।
কান্না জড়িত কণ্ঠে রাবেয়া বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার কষ্টের কথাগুলো জানার পর ইউএনও ম্যাডাম ও স্থানীয়রা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। আমার আর কোনো চাওয়া নাই, আমি আমার স্বামীর ভিটায় মরতে চাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিগার সুলতানা বলেন, রাবেয়ার দুর্দশার বিষয়টি নজরে এলে জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাকে তার খোঁজ খবর নিতে বলেন। আমি তার কষ্টের কথা জানলাম। তাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপাতত ১০ হাজার টাকা ও তিনটি কম্বল দেয়া হয়েছে। রাবেয়াকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধবা ভাতার ব্যবস্থা ও দু’মেয়ের লেখা-পড়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মরহুম আবুল কালামের স্ত্রী রাবেয়া বেগম স্বামীর চিকিৎসা ও ঋণের চাপে ভিটামাটি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। স্বামীর মৃত্যুর পর সম্প্রতি ভিটার বর্তমান মালিক তাকে উচ্ছেদ করলে ছোট্ট দু’মেয়েকে নিয়ে গোমতীর চরে বসবাস করছেন। তীব্র শীতের মাঝে স্কুল পড়ুয়া দু’মেয়েকে নিয়ে তার এমন মানবেতর জীবন-যাপনের সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে যান ইউএনও নিগার সুলতানা।