২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`

‘ইসলামী চেতনা নিয়েই এই বাংলাদেশে আমাদের বাঁচতে হবে’

- ছবি : নয়া দিগন্ত

কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইফ ও এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ‘আল্লাহর অস্তিত্বকে বুকে ধারণ করে আমাদের ঈমানি শক্তিকে মজবুত করতে হবে। ইসলামী চেতনা নিয়েই এই বাংলাদেশে আমাদের বাঁচতে হবে। কোরআনকে বুঝতে হবে। ব্যক্তি জীবনে কোরআনের পথে চলতে পারলে আলোকিত হবে সমাজ ও রাষ্ট্র।’

গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে খয়রাতিপাড়া এলাকায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খয়রাতি পাড়া হিলফুল ফুযুল শান্তি সংঘ সংগঠন এ আয়োজন করে।

শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘মানুষ চায় না আমরা বিভক্ত হয়ে যায়। দেশ গড়ার কাজে আমাদের মধ্যে অনৈক্য নেই। ২৭ বছর বয়সে আমি প্রথম এমপি হয়েছিলাম। কক্সবাজারের রামু তখন আমার নির্বাচনী এলাকা ছিল। ওই সময় রামুতে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াত করা হয়েছিল। সেই মাহফিলে প্রথম আমার আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সাথে
দেখা হয়েছিল। ওই দিন তিনিও তরুণ ছিলেন আমিও তরুণ ছিলাম। তিনি অত্যন্ত ভদ্র মানুষ। আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। যে মানুষ সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি গ্রামে গ্রামে কোরআনের কথা বলেছেন। চট্টগ্রামে লাখ লাখ মানুষের মধ্যে তিনি কোরআনের তাফসির করতেন। দেশ-বিদেশে ইসলাম প্রচারে তার অবদানের কথা আমাদের স্বরণ রাখতে হবে। তিনি আধুনিক ইসলামের একজন প্রবক্তা ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রথম এমপি হই তখন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান অত্যন্ত ধর্মভীরু ছিলেন। তিনি ইসলাম প্রচারের জন্য ব্যাপক সুযোগ দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান শুধু বিএনপির নেতা ছিলেন না। তিনি সকলের নেতা ছিলেন। ঠিক তেমনি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী জামায়াত করতেন। কিন্তু তিনিও ছিলেন সকলের পছন্দের নেতা। বাংলাদেশের মানুষ জিয়াউর রহমান ও আল্লামা সাঈদীকে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসতেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইহুদিরা ও হিন্দুস্থানের ষড়যন্ত্রে মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি সৃষ্টি করল। ফিলিস্তিনে, কাশ্মিরে, মিয়ানমার ও হিন্দুস্থানের বিভিন্ন প্রদেশে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা আমাদের চোখের সামনে তার প্রমাণ। রোহিঙ্গাদের কী কষ্ট যাচ্ছে আমরা দেখছি। আমরা তাদেরকে কি সাহায্য করতে পারছি? রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ কষ্ট পাচ্ছে আমরা কিছুই করতে পারছি না। মুসলমান হিসেবে আমরা তাদের সাহায্য করতে পারছি না কেন এটা একটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আমরা তাদেরকে জায়গা দিয়ে নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করেছি। আমাদের পাশেই রয়েছে রোহিঙ্গা সুতরাং মুসলিম হিসেবে তাদের দেখতে হবে।’

শাহজাহান চৌধুরী আরো বলেন, ‘এক বছর আগেও তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে কথা বলতে পারতো না। কোরআনের সঠিক কথা বললে গলা টিপে ধরা হতো। কেন? এরা কারা? আমাদের বাক স্বাধীনতা কারা হরণ করেছিল? এসব মানুষগুলোকে আমাদের মনে রাখতে হবে। আল্লাহর ওয়াস্তে এই অমানুষগুলোকে আমাদের চিনে রাখতে হবে। তারা যেকোনো মূহূর্তে আমাদের বিপদে ফেলতে পারেন। আপনারা দেখেছেন, উখিয়া এবং রামুতে কারা বৌদ্ধ মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছিল এবং হামলা করেছিল। আর মামলার আসামি করা হয়েছিল শাহজালাল চৌধুরী, সরওয়ার জাহান চৌধুরীসহ অসংখ্য জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে। এগুলো দুঃখের ব্যাপার।’

উল্লেখ্য, হাফেজ কাজী আবু হারুন মুকাদ্দাস আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ড. কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা আবুল ফজল, মাওলানা নুর আহমদ, প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement
হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থতা : পদত্যাগের ঘোষণা ইসরাইলি সেনাপ্রধানের জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমির কাশেম মণ্ডলের পিএইচডি অর্জন আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার স্বীকৃতি চায় ময়মনসিংহ যুক্তরাষ্ট্রে আরো রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ‘ছাত্রশিবিরের নামে নানারকম প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল’ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে আইজিপির নির্দেশ নাইকো দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু কেয়া গ্রুপের আরো ২টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জার্মানি গাজীপুরে ঝুটের ৩টি গুদামে আগুন

সকল