সেন্টমার্টিনে ৩ রিসোর্টে আগুন : যেভাবে সূত্রপাত
- কক্সবাজার অফিস
- ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:১০
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে আগুণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তিনটি ইকো রিসোর্টের ২৬টি কক্ষ। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিসোর্টের মালিকেরা।
মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাত ২টা ১০মিনিটের দিকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীপের গলাচিপা এলাকার বীচ ভ্যালী এবং কিংশুক ও সাইরী ইকো রিসোর্টে এই আগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ইকো রিসোর্টে মালিকদের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে পশ্চিম সৈকতের গলাচিপায় অবস্থিত সাইরী ইকো রিসোর্টের (রিসিপশন) অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে মাল্টিপ্লাগে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে করে পাশে থাকা বীচ ভ্যালীর ১৮টি কক্ষ, কিংশুক ইকো রিসোর্টে সাতটি ও সাইরী ইকো রিসোর্টের (রিসিপশন) অভ্যর্থনা কক্ষ একটিসহ সর্বমোট ২৬টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সাইরী ইকো রিসোর্টের (রিসিপশন) অভ্যর্থনা কক্ষে মাল্টিপ্লাগে শর্টসার্কিট হয়ে আগুণের উৎপত্তি হয়। অভ্যর্থনা কক্ষে ঠিক পেছনে বীচ ভ্যালী ইকো রিসোর্ট। বাতাস থাকার কারণে মিনিটের মধ্যে বীচ ভ্যালীর ছাউনিতে আগুন লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগে শুকনো কাঠ আর বাঁশ দিয়ে তৈরি বীচ ভ্যালী ইকো রিসোর্টে আগুণ লাগার সাথে সাথে কয়েক মিনিটের মধ্যে পুরো রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বীচ ভ্যালীসহ পাশের কিংশুক ইকো রিসোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা, আগত পর্যটক ও বিজিবি কোস্ট গার্ড এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রচেষ্টায় ভোররাত প্রায় ৪টার দিকে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
ইউপি চেয়ারম্যান জানান, দ্বীপে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ফায়ার সার্ভিস কিংবা উন্নত মানের কোনো যন্ত্র না থাকায় আগুনে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
ইকো রিসোর্টের কর্মীরা জানিয়েছেন , আগুনের সূত্রপাতের সময় অধিকাংশ পর্যটকেরা রিসোর্টের বাইরে থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে পর্যটকদের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং নির্ঘুম রাত কাটায় তারা। কটেজগুলোতে আগুন নিয়ন্ত্রণের বিকল্প কোনো ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় সবগুলো কক্ষপুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা