১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১১ রজব ১৪৪৬
`

অনিশ্চয়তার মুখে রামগড় স্থল বন্দরের কার্যক্রম : নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে রামগড় স্থলবন্দর হয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যে পণ্য বহনের জন্য মূলত নির্মিত হয়েছে রামগড় স্থলবন্দর।

এই বন্দর ব্যবহারে বাংলাদেশ কিভাবে লাভবান হতে পারে, কী কী পণ্য আমদানি করতে পারে এবং কবে নাগাদ রামগড় বন্দর ব্যবহার করে যাত্রী পারাপার এ সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি আরো জানান, রামগড় স্থলবন্দর কবে চালু হবে এবং এর পরবর্তী কার্যক্রম কী হবে তা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রহণ করা হবে।

‘রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ রোববার রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন।

রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শনে স্থলবন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: মানজারুল মান্নান, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এসএম আবুল এহসান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ভারত সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের রামগড় ও টেগামুখ বন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। টেগামুখ স্থলবন্দর কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ থাকলেও রামগড় স্থলবন্দরের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। রামগড় থেকে বারৈয়ারহাট ৩৮ কিলোমিটারের রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। জরুরি ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন ও চেকপোস্টের জন্য অস্থায়ী কাঠামোয় নির্মাণকাজ চলছে।

গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ কয়েকটি জাতীয় গণমাধ্যমে ফেনী নদীর ওপর রামগড় স্থলবন্দর নির্মাণে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ নেই এই দাবি করে সমালোচনা চলছে। সমালোচনার মধ্যেই আজ রোববার নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন সর্বপ্রথম রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসেন।

এছাড়াও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর ভারত ও বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বাংলাদেশের দু’টি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম ও মোংলা ব্যবহার করার অনুমতি দেয়ার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় রামগড় বন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের বিষয়টিও ছিল। ইতোমধ্যে রামগড় ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ইমিগ্রেশন ভবন, ওজন স্কেল নির্মাণসহ প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। গত বছরের ১৪ আগষ্ট এ বন্দর ব্যবহার করে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া চালু হওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আর চালু হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement
চোখে শুকনো মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালককে হত্যা সিরিয়া নিয়ে আলোচনা করতে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ কূটনীতিকরা ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরো ১ জনের মৃত্যু সাতক্ষীরা পৌর-মেয়রের বরখাস্তের আদেশ অবৈধ : হাইকোর্ট জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেয়ার দাবিতে গণঅনশন দাবানল পাল্টে দিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলসের চিত্র ‘অবিভক্ত ভারত’ অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ দিল্লির হাসিনার চোখ ছিল ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস আলম রংপুরে প্রি-পেইড মিটার প্রকল্প বাতিলের দাবিতে নেসকো অফিস ঘেরাও লেবার পার্টির সাথে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক ভারত কেন এখন আফগান তালেবানের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে চায়?

সকল