চট্টগ্রাম সিইপিজেডে শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, আহত ৩০
- চট্টগ্রাম ব্যুারো
- ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৭, আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৮
চট্টগ্রামের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) তিনটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে বেতন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মডিস্ট, জেএমএস ও মেরিমো- এ তিনটি কারখানার শ্রমিকরা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালান। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
আহতদের বেশিরভাগই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং বেপজা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘কারখানার মূল গেট খোলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কের জেরে এই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে অনেকেই আহত হন এবং তাদের মধ্যে ৩০ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে। তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় দ্রুত সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক মো: আবদুস সোবহান বলেন, ‘জেএমএস ও মেরিমো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই ঘটনা ঘটে। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। একটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং আরেকটি কারখানায় দুপুরের পর ছুটি দেয়া হবে।’
চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্র জানায়, ‘১২টার পর থেকে আহত শ্রমিকরা হাসপাতালে আসতে শুরু করেন। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ছয়জন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, তবে এখনো তাদের নাম-পরিচয় নথিভুক্ত করা হয়নি।’
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিকরা নয় শতাংশ বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য দাবি নিয়ে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন। কিছু কারখানা তাদের দাবি মেনে নিলেও অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, শিল্পপুলিশ এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ মোতায়েন থাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। তবে এই সংঘর্ষের পেছনের কারণ এবং এর সাথে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।