১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রক্লেমেশন অব জুলাইয়ের ঘোষণা চাই : হাসনাত আব্দুল্লাহ

১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রক্লেমেশন অব জুলাইয়ের ঘোষণা চাই মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখিনি। সরকার যেহেতু দায়িত্ব নিয়েছে, আমরা চাই ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলেশন ঘোষণা করা হোক।’

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে দেবিদ্বার উপজেলা সদরে প্রক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলেশন ঘোষণার দাবিতে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত এবং নিহতদের স্বীকৃতি দাবি করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আর্তনাদ আমরা এখনো শুনতে পাই। তাদের এখনো যথাযথ পুনর্বাসন হচ্ছে না। এখনো সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দিয়ে তাদের সুবিধাপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে জনগণের যে আকাংখ্যা তার প্রতিফলন ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে ছুটে যাব। জানতে চাই, যারা গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছেন তারা কোন ধরনের বাংলাদেশ চায়। আমরা এমন দেশ চাই, যেখানে কোনো ধরনের ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য, দুঃশাসন ও অপশাসন থাকবে না।’

তিনি আরো বলেন, সরকারের ঘোষণাপত্রে শহীদ এবং আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে। সেখানে ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪-এর ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতার সুস্পষ্ট বর্ণনা থাকতে হবে। কোনো পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী জাহেলিয়াত থেকে মুক্তি পেয়েছে সেটির বর্ণনা থাকতে হবে এবং যে রাজনৈতিক দলগুলো ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছে তাদেরও স্বীকৃতি থাকতে হবে। অনেকে হয়ত ভাবছে, ১৯৭১-এর বিপরীতে ২০২৪-কে দাঁড় করানোর একটা অপপ্রয়াস চলছে, বিষয়টি এমন নয়। বরং বিষয়টি হচ্ছে, ১৯৭১-এ লড়াই ছিল পাকিস্তানি শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে। ঠিক একইভাবে আমাদের ২০২৪-এর লড়াইটি ছিল অভ্যন্তরীণ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আওয়ামী জাহেলিয়াতের বিরুদ্ধে। দু’টিই হচ্ছে আমাদের লড়াই এবং সংগ্রামে যে দৃঢ়তার প্রত্যয় সে দৃঢ়তার ইতিহাস।’

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী নাসির, উপজেলা সমন্বায়ক মুহতাদির যারিফ সিক্ত, জাতীয় নাগরিক কমিটির উপজেলা প্রতিনিধি নাজমুল হাসান নাহিদ, মো: সাজেদুল রাসেদ রাফসান, শরিফুজ্জামান, ডাক্তার আল আমিন, রকিবুল ইসলাম হৃদয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।