০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ৮ রজব ১৪৪৬
`

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর আল্টিমেটাম

কুমিল্লায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন হাসনাত আবদুল্লাহ - ছবি : নয়া দিগন্ত

আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) কুমিল্লা নগরীতে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে জনসংযোগ শেষে শহরের টাউন হল মাঠে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের ব্যবস্থা করা। যেখানে সরকার থেকে পদক্ষেপ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা নেয়া হয়নি। তাই আমরা এ বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে গিয়েছি। কিন্তু সরকার যেহেতু নিজেই দায়িত্ব নিয়েছে সকল রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবেন। তাই আমরা ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্রটি ঘোষণা করিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক ঐক্যমত্যকে প্রাধান্য দিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো ৩১ ডিসেম্বরের পর এতদিন কেটে গেলেও সরকার এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিল, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ ও আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে। ৪৭, ৭১ ও ২৪-এর যে ধারাবাহিকতা সেখানে সুস্পষ্ট তার বর্ণনা থাকতে হবে। আর সেটাতে আমরা কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি তার বর্ণনা থাকতে হবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করেছে তাদের অংশগ্রহণের স্বীকৃতি সেখানে থাকতে হবে। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ফ্যাসিবাদি রাজনীতির বিরুদ্ধে সে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই ঘোষণাপত্র থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ঘুরে বেড়াবো এবং সাধারণ মানুষ যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল তারা এই ঘোষণাপত্রে কী চায় আমরা তুলে ধরব। যাতে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া না দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আহত ও শহীদদের পরিবারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা ছিল। কিন্তু আমরা এখনো আহতদের ও শহিদ পরিবারের আর্তনাদ শুনি। যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমরা চাই এ সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে আহত ও শহীদদের প্রতি। আমরা দেখেছি জুলাই ফাউন্ডেশনের আহত ও শহীদদের পরিবার আমলা তান্ত্রিক জটিলতার শিকার হয়েছিল। আমরা বলতে চাই ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের যেন কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না থাকে।’

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মাঝেমধ্যে দোহাই দিয়ে বলতে শুনি, সিন্ডিকেটের হাত পরিবর্তন হয়েছে, চাঁদাবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে, টেন্ডারবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে। আপনাদের আমরা দোহাই দেয়ার জন্য এখানে আনিনি। এক্সকিউজ দেয়ার জন্য এখানে আনিনি। আপনাদের এখানে এনেছি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। যেই হাত চাঁদাবাজি করে, টেন্ডারবাজি করে সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। এক্সকিউজ দেয়ার সুযোগ আপনাদের নেই। আপনাদের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement