সন্তানদের নিয়ে আসমা যাবেন কোথায়? নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই
- মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, নোয়াখালী অফিস
- ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:২২
তিন এতিম সন্তান নিয়ে নোয়াখালীর বিধবা নারী আসমা এখন যাবেন কোথায়? মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই তার। এতিম সন্তানদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন বিধবা এ নারী। অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তার মেধাবী সন্তানদের লেখাপড়া। থাকার জন্য একটি বসতঘরও নেই অসহায় এ নারীর।
২০০৪ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ছনগাঁও গ্রামের গোলাম রহমানের ছেলে রং মিস্ত্রি সাহাব উদ্দিনের সাথে বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের মো: হানিফের মেয়ে আসমা আক্তারের (৩৫) বিয়ে হয়।
সাহাব উদ্দিন প্রিন্টিংয়ের কাজ করতেন গাজীপুরের টঙ্গীতে। তিনি তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন সেখানে। এরমধ্যে সাহাব উদ্দিনের একমাত্র সম্বল বাড়ি বিক্রি করে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এক প্রতারক চক্র। পরে ২০২২ সালের ২ অক্টোবর সাহাব উদ্দিন স্ট্রোক করে মারা যান।
তাদের তিন সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান নাছির উদ্দিন টঙ্গী ধূমকেতু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করে। ঘরে বাবার লাশ রেখে নাছির এসএসসি পরীক্ষার শেষ দিনে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ- ৫ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ছেলে ওসমান একই বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় তার লেখাপড়া। আসমার স্বামীর মৃত্যুর পর ভাড়া বাসা ছেড়ে দেন তারা। কিন্তু তিনি সন্তানদের নিয়ে যাবেন কোথায়। স্বামীর তো ঘরভিটেও নেই।
অবশেষে তার বাপের বাড়ির ভাইয়ের ঘরে তিন সন্তান নিয়ে আশ্রয় নেন আসমা। অর্থের অভাবে ওসমানের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। মেধাবী ছাত্র নাছিরকে কলেজে ভর্তি করা যাচ্ছিল না। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চৌমুহনী এস.এ সরকারি কলেজে ভর্তি করা হয়। নাছির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হিসেবে প্রাইভেট পড়া প্রয়োজন। কাজ কর্ম করে জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে আসমার।
লেখাপড়ার খরচ কোথা থেকে দিবে তিনি। টাকার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মেধাবী এ শিক্ষার্থীর। আসমা এ প্রতিবেদককে জানান, সম্প্রতি ঘরের মালিক ঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য নোটিশ দিয়ে রান্নাঘর ও বাথরুম ভেঙে দিয়েছে। এখন সবচেয়ে বেকাদায় পড়েছেন বাথরুম নিয়ে। মা ছেলে মেয়েসহ চারজন বাথরুমের কষ্টে দিনপাড় করছেন।
আসমা বলেন, তার বাবার ওয়ারিশ সূত্রে তিন শতাংশ জায়গা পান তিনি। মানুষের সহযোগিতায় এ তিন শতাংশ ভূমি ভরাট করেছেন অতি কষ্টে। কিন্তু ঘর করার জন্য কোনো সামর্থ নেই তার। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে একটি ঘরের ব্যবস্থা করার জন্য স্বহৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন এতিম সন্তানরা।
দেশের স্বহৃদয়বান ব্যক্তিদের দিকে তাকিয়ে আছেন অসহায় বিধবা নারী ও কোমলমতি তিন সন্তান। তারা প্রত্যাশা করছেন নিশ্চয়ই কোনো না কোনো মহান হৃদয়ের ব্যক্তি তাদের পাশে দাঁড়াবেন। তাদের চোখেমুখে ফুটবে ঘর পাওয়ার হাসি। মাথা গোঁজার ঠাঁই
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা