০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১, ৫ রজব ১৪৪৬
`

অতিথি পাখির কলতানে মুখর আজরাঈল দীঘি

- ছবি : নয়া দিগন্ত

শীতের মৌসুমে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলাধীন জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর আলামপুর গ্রামের হাজেরা খাঁ দীঘি, যা স্থানীয়ভাবে আজরাঈল দীঘি বলেই পরিচিত। আজরাঈল দীঘিটি এখন অতিথি পাখির নিরাপদ বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙছে এলাকাবাসীর। পাখির এ কলতান উপভোগ করতে সকাল-বিকেল ভিড় করছেন পাখিপ্রেমীরা।

দীঘির পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, সকালে তাদের ঘুম ভাঙে পাখির গুঞ্জনে। দীঘিতে আশ্রয় নেয়া পাখিগুলো নির্বিঘ্নে ছোটাছুটি করলেও কেউ এগুলো ঢিল ছুড়ে বিরক্ত করে না। কোনো শিকারি অসৎ উদ্দেশ্যে জলাশয়ের কাছেও আসে না।

পাখি দেখতে আসা মেজাম্মেল হক হাছান জানান, লোকমুখে অতিথি পাখির কথা শুনে দেখতে এলাম। এখানে এসে আমি মুগ্ধ। পাখির গুঞ্জনে পরিবেশটা আরো উপভোগ করছি।

স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, এ দীঘিতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও শত শত পাখি এখানে এসেছে। আগত এসব অতিথি পাখির অভয়ারণ্যে যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। প্রতিদিন অনেক মানুষ এখানে পাখি দেখতে আসেন।

তিনি আরো বলেন, এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে হাজেরা খাঁ দীঘিতে একবার ঘুরে এলে পাখিদের কলকাকলিতে মুগ্ধ হবেন সকলেই।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) দাগনভূঞা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইফতেখার বলেন, পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা গেলে এবং এসব পাখির নিরাপত্তা দেয়া গেলে এরা হয়তো নিয়মিত আসবে। একই সাথে পাখির বিচরণের জন্য বিল-জলাশয় ভরাট করা থেকেও আমাদের বিরত থাকতে হবে।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, কারো বিরুদ্ধে পাখি শিকারের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement