০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১, ২ রজব ১৪৪৬
`

শহীদ রুবেলের নবজাতক শিশুকে দেখতে মিষ্টি নিয়ে গেলেন ইউএনও

ইউএনও নিগার সুলতানার কোলে শহীদ রুবেলের নবজাতক শিশুপুত্র - ছবি : নয়া দিগন্ত

দেবিদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রুবেলের নবজাতক শিশুকে দেখতে মিষ্টি নিয়ে গেলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ২টায় দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামে শহীদ রুবেলের চার মাসের পুত্র সন্তান মো: আব্দুল্লাহ্ আল রায়ানকে দেখতে যান ইউএনও নিগার সুলতানা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: আলাউদ্দিন সরকার, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, রুবেলের চাচা মো: আবু তাহের, রুবেলের মা হাসনেয়ারা বেগম, স্ত্রী হেপি আক্তার ও এলাকার গন্যমান্যরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট ছাত্রলীগের সশস্ত্র অস্ত্রধারীদের গুলিতে দেবীদ্বার মাটিয়া মসজিদের পাশে পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রুবেল।

শহীদ আব্দুর রাজ্জাক রুবেল (৩৩) দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মরহুম রফিকুল ইসলামের ছেলে। রুবেল কোম্পনীগঞ্জ- চট্রগ্রাম প্রান্তিক বাস সার্ভিসের চালক এবং পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ছিলেন।

রুবেলের মৃত্যুর সময় এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন এবং তার স্ত্রী তখন গর্ভবতী ছিলেন। রুবেলের মৃত্যুর এক মাস ছয়দিন পর অর্থাৎ গত ৯ সেপ্টেম্বর পুত্র সন্তান জন্ম হয়। নবজাতকের বয়স আজ প্রায় চার মাস অর্থাৎ তিন মাস ২৩ দিন।

ইউএনও নিগার সুলতানা শিশুকে কোলে নিয়ে বলেন, ‘এ শিশু তার বাবার চিহ্ন- ভালোবাসা এমনকি বাবা ডাক থেকেও বঞ্চিত হলো। রুবেলের স্ত্রী হলেন বিধবা। এ হৃদয়বিদারক ঘটনার শান্তনা দেয়ার ভাষা আমার নেই।’

এ সময় নিগার সুলতানা ব্যক্তিগতভাবে শিশুটির জন্য শিশুর জননী হেপি আক্তারের হাতে বস্ত্র এবং ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।


আরো সংবাদ



premium cement