০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩০, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৫
`

জনগণের সম্মতি ছাড়া কেউ নিজেকে শাসক দাবি করতে পারে না : ফরহাদ মজহার

চৌদ্দগ্রামে বিলকিছ আলম পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সমাজ গঠন ও বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন ফরহাদ মজহার। - ছবি - নয়া দিগন্ত

কবি, গবেষক ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার বলেছেন, জনগণই সকল ক্ষমতার অধিকারী। তাই জনগণের সম্মতি ছাড়া কেউ নিজেকে শাসক হিসেবে দাবি করতে পারে না। জনগণের অনুমতি ছাড়া কোনো আইন পাশ হতে পারে না। এটাকেই বলে জনগণের ক্ষমতা ও গণস্বার্বভৌমত্ব। যে কোনো বিষয়ে জনগণ যদি নিজের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসতে পারে, সেটাই আমাদের সমাজের জন্য কল্যাণকর হবে।

আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিলকিছ আলম পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সমাজ গঠন ও বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘স্বৈরশাসক ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন পাশ করেছিল, সংবিধান বদলে দিয়েছিল। সবকিছু বদলে দিয়ে নিজের নামে রাষ্ট্রের নামকরণ করেছিল। এটা কি তিনি করতে পারেন? উত্তর হচ্ছে, না। যদি গণ-স্বার্বভৌমত্ব থাকে তাহলে এটা তিনি করতে পারেন না। জনগণের পরামর্শে কাজ করতে হবে। এটা যে সরকার করবে না, সে সরকারের ভাগ্য স্বৈরশাসকের মতো হবে। আর জনগণ যখন এ বিষয়ে সোচ্চার থাকে, তখনই কথা বলে, সমাধান করতে চায়। এর ব্যত্যয় ঘটলে জনগণ গণঅভ্যুত্থান ঘটায়।’

তিনি বলেন, ‘ড. ইউনুছ সাহেব গণ অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় এসেছেন। অনেকগুলো কমিশন গঠন করেছেন। কমিশনের লোকেরা ওপরে বসে বসে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্কারের প্রস্তাবনা করছে। তারা কাদের সাথে আলাপ করছে। জনগণ তাদের সাথে কতটা উপস্থিত। উত্তর হলো, না। আপনাদের জিজ্ঞেস করেছিল? চৌদ্দগ্রামের উপজেলা হিসেবে কী সমস্যা, কুমিল্লা জেলা হিসেবে কী সমস্যা? তারা কি জানতে চেয়েছে? এভাবে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার সমাজ সংস্কার করতে পারে না। তারা জনগণের অভিপ্রায় থেকে বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে।’


আরো সংবাদ



premium cement