জাহাজে ৭ খুনের বিচারের দাবিতে লক্ষ্মীপুরে নৌ-শ্রমিকদের কর্মবিরতি
- লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
- ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:১৪
সাত খুনের প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন, বিচার ও ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবিতে লক্ষ্মীপুরে নৌ-যান শ্রমিকদের অনিদিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মবিরতি। বিশেষ করে মালবাহী নৌ-যানের শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি পালন করছে।
তবে যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আপাতত যাত্রীবাহী নৌ-যানগুলো কর্মবিরতির আওতায় থাকবে বলে জানান শ্রমিক নেতারা।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলার সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাটঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন পণ্যবাহী কার্গো থেকে কোনো মালামাল লোড ও অনলোড করা হচ্ছে না। ঘাটেই অবস্থান করছে পণ্যবাহী কর্গোগুলো। মজুচৌধুরী হাট ঘাট থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের একমাত্র যোগাযোগেরমাধ্যম এই নৌ-রুট।
যাত্রীবাহী নৌযান কর্মবিরতির আওতায় থাকলেও দুর্ভোগে পড়েছে ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটের যাত্রীরা।
এদিকে ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে চলাচলকারী যাত্রী হারুন ও তোফায়েলসহ অনেকেই জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। যদিও যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল করার কথা। বেশিভাগ নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। দ্রুত শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে নৌ-যান চলাচল শুরু করার আহ্বান জানান যাত্রীরা।
কার্গো শ্রমিকরা জানায়, মুজচৌধুরীর হাট ঘাটে প্রতিদিন শতাধিক বিভিন্ন পন্যবাহী জাহাজ থেকে পণ্য লোড-আনলোড করা হয়। নদীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সব সময় কাজ করতে হয়। কিন্ত বিভিন্ন সময়ে দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। চাঁদপুরে জাহাজে যে সাত খুনের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এখন পর্যন্ত রহস্য উদঘাটন হয়নি। পাশাপাশি শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা করে যে দাবি সেটাও যৌক্তিক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা। অন্যাথায় আরো কঠোর কর্মসূচির দেয়া হবে বলে জানান তারা।