২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদীবন্দরের কার্যক্রম

নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদীবন্দরের কার্যক্রম - নয়া দিগন্ত

নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) অচল ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নদীবন্দরের কার্যক্রম। চাঁদপুরে জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িতদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে শনিবারও (২৮ ডিসেম্বর) চলছে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত থেকে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ডাকে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট শুরু হয়।

ধর্মঘটের কারণে আশুগঞ্জ নদীবন্দরে আটকা পড়েছে মালবাহী কার্গো জাহাজ, বন্দরে কার্গো জাহাজ থেকে বন্ধ রয়েছে পণ্য ওঠানামা। এতে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দরের শত শত শ্রমিক। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বন্দরে সার, রড, সিমেন্ট নিয়ে আসা কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এতে বিপুল অঙ্কের লোকসান গুণতে হবে।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে হরিণাঘাটের কাছে মাঝেরচর এলাকায় এমভি আল-বাখেরা জাহাজে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্মম হত্যাকাণ্ডে মাস্টারসহ সাতজন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা, সকল নৌপথে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ জন্য রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তৈল-গ্যাস, বালুসহ সকল প্রকার পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

জানা গেছে, আশুগঞ্জ নদীবন্দরে প্রতিদিন সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে নদী পথে ঢাকা, চট্টগ্রাম, মোংলা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, নরসিংদী, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জসহ সারাদেশে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement