’সরকার প্রতি বছর ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি তেল আমদানি করে থাকে’
- মতলব (চাঁদপুর) সংবাদদাতা
- ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৫
সরকার প্রতি বছর ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি তেল আমদানি করে থাকে। কিন্তু এই তেলের নামে আমরা কী খাচ্ছি। এগুলো খাঁটি সয়াবিন তেল না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো: ছাইফুল ইসলাম।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়নে সুফি দরবারে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে পুষ্টিকর ও নিরাপদ তেল খাওয়া যাবে নিজেরা তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন করতে পারলে। সুতরাং পুষ্টি চাহিদা পূরণে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনে আমাদের সবাইকে আরো আগ্রহী হতে হবে।
তিনি বলেন, একটি মহলের সিন্ডিকেটের কারণে বাংলাদেশে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন কমেছে। কারণ তেলজাতীয় খাদ্য উৎপাদন হলে তেল ব্যবসায়ীদের আমদানি করা বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টি চাহিদায় ঘাটতি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পুষ্টি ও তেলজাতীয় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। তা না হলে আমরা দিন দিন অপুষ্টিতে ভুগতে থাকব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আরো বলেন, আমাদের কৃষকরাই দেশের প্রধান উৎপাদন শক্তি। কৃষকরা যদি উৎপাদন না করত তাহলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারতাম না। যেমন করোনার সময়ে সব শ্রেণী-পেশার মানুষই কর্ম থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু কৃষকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। তারপরও করোনাকালে ৪০ ভাগ উৎপাদন কমে গিয়েছিল। তবে কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গত দুই বছরে ২০ ভাগ বেড়েছে। তাই কৃষক ভাইদেরকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মো: আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. সাফাতেত আহম্মেদ সিদ্দিকী, সিকোট্যাক্স এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক এ বি এম নাছির উদ্দীন সরকার, চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো: আবু তাহের প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা