চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নাজেহাল করার ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা
জড়িতদের বহিষ্কার- ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৫৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আমির অ্যাডভোকেট মো: শাহজাহান, জেলা সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মো: মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি মো: বেলাল হোসাইন এক যুক্ত বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্চনার ঘটনার প্রতি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। আমরা এই দুঃখজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এক যুক্ত বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
যুক্ত বিবৃতিতে আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা নয়, দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককেও হেনস্তা করা সমর্থন করে না। এই দুঃখজনক ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করার জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
তারা বলেন, ‘এই ঘটনার সাথে জড়িতরা জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া কোনোভাবেই সমর্থন করে না এবং প্রশ্রয়ও দেয় না। আমরা স্থানীয়ভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে জেনেছি যে, জনাব আবদুল হাই কানু তার নিজ এলাকায় হত্যা মামলাসহ নয়টি মামলার আসামি। আমরা মনে করি, এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারো নেই। আমরা ঘটনার সাথে জড়িত ঢাকায় অবস্থানকারী আবুল হাশেম ও দুবাই ফেরত অহিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করছি এবং কোনো অবস্থাতেই দেশবাসীকে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা নেতারা বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা মো: আবুল হাশেম, বাবা মরহুম আবদুল বারেক, গ্রাম কুলিয়ারা এবং মো: ওহিদুর রহমান, বাবা মরহুম শফিকুর রহমান, গ্রাম কুলিয়ারাসহ এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি এবং জামায়াতে ইসলামীর শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ভাব-মর্যাদার ক্ষুন্ন করায় সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করছি।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা