২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নাসিরনগরে তৈরি হচ্ছে দেশীয় মাছের নানা জাতের শুটকি

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হাওর বেষ্টিত হওয়ায় দেশীয় মাছের শুটকি উৎপাদনের জন্য বেশ উপযোগী এলাকা। চলতি বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঁচায় শুঁটকি উৎপাদনে জেলেরা রীতিমতো ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর ইউনিয়নের গাঙ্কুলপাড়া লঙ্গন নদীর তীর ঘেঁষে তৈরি হয়েছে শুটকি তৈরির মাঁচা। দেশীয় নানা জাতের মাছ এসব মাঁচার ওপর বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুকানো হচ্ছে। শুঁটকি তৈরিতে এখানে প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক বর্তমানে কাজ করছেন এদের বেশিভাগই নারী।

কোনো ধরনের কীটনাশক ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় বলে এখানকার শুঁটকির সুখ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নরসিংদী ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকাররা এসে শুটকি নিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার বিল বালিঙ্গা, মেদীর বিল, আটাউরী, উত্তরবাল্লা ও লঙ্গন নদী, আগাইয়া হাওর, শাপলা বিল, আকাশি বিলের মিঠাপানির মাছ বলতে শৈল, গজার, চান্দা, পুঁটি, গোলসা, টেংরা, বোয়াল, বাইম, বাইলা, আলুনি, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ দিয়ে তৈরি হয় এসব শুঁটকি।

শুঁটকি ব্যবসায়ী হরলাল দাস বলেন, ‘এ আবহাওয়ায় শুঁটকি ভালো হচ্ছে। এ ব্যবসায় জড়িত জেলেরা অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং এখানে শুঁটকি তৈরিকে কেন্দ্র করে অনেক কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে। শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কয়েকশ নারী।’

শুঁটকি ব্যবসায়ী ছিদ্দিক মিয়া বলেন, ‘বছরের আশ্বিন মাস থেকে শুরু করে মাঘ মাস পর্যন্ত শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করেন এখানকার নারী-পুরুষ অনেক শ্রমিক। আমরা এক মৌসুমে গড়ে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে থাকি। আমাদের উৎপাদিত শুঁটকি দেশের গন্ডি পেরিয়ে এলসির মার্ধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও যায়।’

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিমুল আরেফিন বলেন, ‘শুঁটকি ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কিভাবে শুঁটকি তৈরি করবেন সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য আমরা একটা তালিকা প্রণয়ন করেছি। আশা করি, এ থেকে ভালো সুফল পাবেন তারা।


আরো সংবাদ



premium cement