লোহাগাড়ায় সাংবাদিক পিটিয়ে থানায় খোশগল্পে আ’লীগ নেতা
- লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
- ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:১৮
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বিচারপ্রার্থীকে মারধরের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক মাসুম (২৮) ও শিক্ষার্থী শহিদের (২৫) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য হাবিবের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওমর ফারুক মাসুম চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বকোণের সহ-সম্পাদক এবং মো: শহিদ আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এরমধ্যে শহিদের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্যের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে তিনি তখন থানায় অবস্থান করছেন এবং পরে কথা বলবেন বলে জানান। সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ওই ইউপি সদস্য কীভাবে থানায় গিয়ে খোশগল্পে মাততে পারেন প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওমর ফারুক মাসুম। তিনি বলেন, ‘দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর ফ্যাসিবাদের দোসরদের এ আস্ফালন মেনে নেয়া যায় না।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিব বিচারপ্রার্থী সাত্তার নামের এক লোককে মারধর করেন। আমরা দু’টি মোটরসাইকেলযোগে চারজন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের দিকে যাচ্ছিলাম। পথে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মসজিদে যোহরের নামাজ আদায় করি। নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা করে। আমি আর শহিদ দাঁড়িয়ে ছিলাম, তারা আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে।’
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘যিনি চিকিৎসা দিয়েছেন, তিনি বিস্তারিত জানাতে পারবেন। আমি যতটুকু খবর নিয়ে জেনেছি, আহত মাসুমের নাকে আঘাত আছে। আরেকজন তিনি কয়েকবার বমি করেছেন। বুকে একটু আঘাত আছে। বমি করেছেন যার কারণে সিটি স্ক্যান করতে বলা হয়েছে। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট পেলে ফাইনাল বলা যাবে।’
লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে স্থানীয় বিচার নিয়ে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির জেরে হামলা করা হয়েছে। সেখানে সাংবাদিক মাসুমসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’
এ দিকে, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামস্থ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এস এম রানা ও সেক্রেটারি ওমর ফারুক, লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ চৌধুরী ও সেক্রেটারি শাহজাদা মিনহাজ। তারা অবিলম্বে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী। তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা