১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
ফেনীতে ওলামা মাশায়েখ ও তাওহিদী জনতার স্মারকলিপি

সাদপন্থীদের বিচার ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দান-কাকরাইল মসজিদ নিষিদ্ধের দাবি

সাদপন্থীদের বিচার ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দান-কাকরাইল মসজিদ নিষিদ্ধের দাবি - ছবি : নয়া দিগন্ত

টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে ঘুমন্ত মুসল্লীদের উপর সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের হামলার বিচার ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দান-কাকরাইল মসজিদ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন ফেনী সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ ও তাওহিদী জনতা।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

এর আগে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, শূরা-ই নেজাম তাবলীগের মুরুব্বি প্রফেসর আলাউদ্দিন, খন্দকার বেলাল হোসেন, আবদুল মান্নান।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘ইমানদারদের শরীরে রক্ত থাকতে বাতিলকে স্থান দেয়া হবে না। তাবলীগ জামাতের সঙ্কট বাংলাদেশ থেকে নয়, ভারতের দেওবন্দ থেকে এ সঙ্কট তৈরি করা হয়েছে। বিভ্রান্তিকর ফতোয়ার কারণে ওলামায়েকেরাম নিজাম উদ্দিন মারকাজকে বয়কট করছেন। সাদপন্থীরা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হামলা করেছে। আওয়ামীলীগ আনসার, পল্লী বিদ্যুত, ইসকনের পর সাদপন্থী হয়ে ফিরে আসার ষড়যন্ত্র করছে।’

মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, ‘পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট সরকার জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে বসে ইউনুস সরকারকে অকার্যকর করতে ষড়যন্ত্র করেছে। মুসলিম-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সাদীয়ানিরা ভ্রান্ত পথে পা দিয়েছে। বিবদমান পরিস্থিতি নিরসনে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। তাদের সিদ্ধান্ত অমান্য করে রাত ৪টার দিকে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ছাত্রসহ ঘুমন্ত মুসল্লীদের হত্যা করেছে। ভারতের পরিকল্পিত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সাদপন্থীরা কাজ করছেন। এক্ষেত্রে ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) ভূমিকা রেখেছে। সাদপন্থীরা তাবলীগের ভুয়া দালাল। তাদের আজীবনের জন্য টঙ্গী ইজতেমা ময়দান ও কাকরাইল মসজিদে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তিনি।’


আরো সংবাদ



premium cement