১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফেনীতে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা

ফেনীতে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা - ছবি : নয়া দিগন্ত

ফেনীতে গণঅভ্যুত্থানে আহত ৫৬ ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসার জন্য সামাজিক সংগঠন শেকড়ের সন্ধানের উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মাওলানা সুলতান নূরী সাহেবের বাড়ির সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সহায়তা দেয়া হয়।

এ সময় ফেনী লায়ন্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবুলের সভাপতিত্বে ও শেকড়ের সন্ধানের অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ এনামুল হক খন্দকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক আবু তাহের ও দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, বালুয়া চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ত্বকি আহমদ ও আহমেদ করিম।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম মঞ্জু, সংগঠক ওসমান গনি রাসেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল যোবায়ের, শেকড়ের সন্ধান পরিবারের কার্যকরী সদস্য শাহওয়ালী উল্লাহ মানিক ও মুজিবুল হক সজল।

অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ এনামুল হক খন্দকার বলেছেন, ‘স্বৈরাচার সরকার টিকে থাকার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে মিডিয়া। অথচ মিডিয়া রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু তারা তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। মিডিয়া যদি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে তাহলে কোনো রাষ্ট্রের বা দেশের শাসক স্বৈরাচার হতে পারে না। দেশের জনগণের সর্বশেষ আস্থা থাকে বিচার বিভাগের প্রতি। নির্যাতিত মানুষ ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য বিচার বিভাগের কাছে যায়। আমরা দেখেছি, সে বিচার বিভাগের আসনে বসে থেকে ওই সমস্ত বিচারকরা ন্যায়বিচার করেননি। বিচারকরা ফ্যাসিস্টের সাথে এক হয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘২৪ সাল পর্যন্ত মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেয়নি। ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছে ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে কীভাবে হয়েছে তা আমরা দেখেছি। ২৪ এ হয়েছে ডামি নির্বাচন। এভাবে তারা আমাদের অধিকার হরণ করেছে। এভাবে ফ্যাসিস্ট রেজিমের ভিত্তি তৈরি হয়েছে। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা মুক্তি পেয়েছি। এ দেশের হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য, বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা যে স্বপ্নে এত রক্ত দিয়েছি তা এখনো আমরা তেমন দেখতে পাচ্ছি না। এখন এ জাতি জুলাই আগস্ট বিপ্লবে কয়েক হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে পরিবর্তন আমরা অর্জন করলাম তা একটা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের জন্য, ইনসাফভিত্তিক একটা সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য স্বপ্ন দেখেছে। তাই ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যে কাজ করতে হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement