খুলনা রেলস্টেশনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘শেখ হাসিনা আবার আসবে’

খুলনা রেলওয়ে স্টেশন ও বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের ডিজিটাল স্ক্রিনে ভেসে উঠেছে ‘শেখ হাসিনা আবার আসবে’। এছাড়াও এ সময় পতিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে নিয়ে প্রচারণার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নগরীর সিমেট্রি রোডের ত্রিপোলি সাইন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আসলাম হোসেন সেন্টুকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রেলস্টেশনের মাস্টারকে অবরুদ্ধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ভিডিওতে দেখা যায়, খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের ডিজিটাল স্ক্রিনে ভেসে উঠছে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা আবার আসবে’।

প্রায় একই সময় নগরীর বয়রাস্থ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের স্ক্রিনেও একই ভিডিও ভাইরাল হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পর রেলস্টেশনের প্রবেশপথের ডিসপ্লেতে উক্ত স্লোগান প্রদর্শিত হতে থাকে। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে প্রদর্শিত হতে থাকলে ঘটনা সেখানে চলাচলরত যাত্রী ও সাধারণ মানুষের চোখে ধরা পড়লে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারপর শিগগিরই এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক সেখানে খুলনা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা বলেন, একটি সরকারি সেবাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে এ ধরনের উস্কানিমূলক স্লোগান প্রদর্শন করার পেছনে স্টেশনের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে মিছিলও করেন । বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নগরীর সিমেট্রি রোডের ত্রিপোলি সাইন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আসলাম হোসেন সেন্টুকে আটক করে।

খুলনা রেলওয়ে পুলিশের ওসি মো: ফেরদৌস আলম খান বলেন, ‘এখানে ডিজিটাল স্ক্রোলিংয়ে বাজে একটা লেখা আসছিল বলে সন্ধ্যার দিকে আমরা মেসেজ পাই। দেখার পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেটি বন্ধ করে দেয়। আসলাম হোসেন সেন্টু নামে একজন এটি কন্ট্রোল করে। সাধারণ জনতা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে। খবর পেয়ে আমরা তাকে হেফাজতে নিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’