১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আইনজীবী আলিফ হত্যার কথা স্বীকার করেছেন রিপন দাশ

রিপন দাশ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে - ছবি : সংগৃহীত

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার আসামি রিপন দাশ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালত এ জবানবন্দি নেন।

এ নিয়ে আলিফ হত্যা মামলায় মোট তিন আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। এর আগে, গত সোমবার হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস এবং গত শুক্রবার রাজিব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এতে উল্লেখ রয়েছে, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দু’টি কোপ দেন রিপন দাশ। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এক আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ, বঁটি দিয়ে তারা মারধর করেন।

আলিফ হত্যার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, ঘটনার দিন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গনে স্লোগান দেন রিপন দাশ। পরে চিন্ময়কে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় সেবক কলোনি এলাকায় চলে যান। সেখানে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। জবানবন্দিতে আসামি বলেন, ঘটনার দিন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে বঁটি দিয়ে কোপান রিপন নিজে। কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস ও রাজিব ভট্টাচার্য। হত্যাকাণ্ডে অংশে নেয়া ১০ থেকে ১২ জনকে চেনেন রিপন দাস।

এ দিকে পুলিশ বলছে, ‘আইনজীবী হত্যার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মাথায় ছাই রঙের হেলমেট, কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা ছিলেন চন্দন। হাতে ছিল কিরিচ। ঘটনার সময় রিপনের হাতে ছিল বঁটি। পরনে ছিল নীল রঙের গেঞ্জি, জিনস প্যান্ট ও মাথায় লাল হেলমেট।’

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সম্মিলিত সনাতন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ শুরু করে তার অনুসারীরা।

এ সময় চিন্ময়ের প্রিজন ভ্যান আটকে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ছুঁড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আশেপাশের এলাকায়। ওই সময় রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশের গলির ভেতরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিনের ঘটনায় আরো পাঁচটি মামলা কোতোয়ালি থানায় রুজু হয়।


আরো সংবাদ



premium cement