১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফেনীতে শিশু নাশিতের খুনীদের বিচার দাবি

ফেনীতে শিশু নাশিতের খুনীদের বিচারের দাবিতে মানবন্ধন - ছবি : নয়া দিগন্ত

ফেনী শহরের একাডেমি এলাকার বাসিন্দা স্কুলছাত্র আহনাফ আল মাঈন নাশিতের খুনীদের বিচার দাবি জানিয়েছেন তার সহপাঠি, শিক্ষক ও স্থানীয়রা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের ট্রাংক রোডের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

এ সময় ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে,’ ‘নিশাত হত্যার বিচার চাই, বিচার চাই, বিচার চাই,’ ‘নিশাত, সাঈদ, মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ নানারকম শ্লোগান দেয় বিক্ষুদ্ধরা।

ফেনী গ্রামার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডা. রাজিয়া সুলতানা তমা বলেন, ’নিশাত আমার প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিল। যে ছেলেগুলো নিশাতকে হত্যা করেছে, তারা গত তিন-চার বছর ধরে আমাদের স্কুলের পাশে সবসময় আড্ডা দিতো। আসলে আমরা বুঝতে পারিনি যে ওরা ঘাতক। ওদের কারো বাসা সেখানে না, ওরা ওখানকার ছেলেও না। ওরা বাইরে থেকে গিয়েই ওখানে আড্ডা দিতো। আমরা জানি না, এটার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা। এলাকাবাসী ও প্রতিষ্ঠানের সবাই তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

ফেনী গিরিশ-অক্ষয় (জিএ) একাডেমির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুরুল্লাহ শুভ বলেন, ‘আমার ভাই নিশাত হত্যাকারী তুষারসহ ঘাতকদের ফাঁসি চাই। এদের দ্রুত বিচার করা হোক যাতে আগামীতে এমন নৃশংস ঘটনা বাংলাদেশের কোথাও না হয়। নিশাত হত্যার বিচার না হলে এরকম আরো অনেক নিশাত হত্যার শিকার হবে।’

নিশাতের খালাতো ভাই আবুল কাশেম তুহিন বলেন, ’আমার খালাতো ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। আমরা খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাই।’

উল্লেখ্য, আহনাফ আল মাঈন নাশিত প্রাইভেট পড়া শেষে বাসায় ফেরার পথে অপহরণের শিকার হয়। পরে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়। ঘটনার চার দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরতলীর দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আশরাফ হোসেন তুষার (২০), মো: মোবারক হোসেন ওয়াসিম (২০) ও ওমর ফারুক রিফাতকে (২০) গ্রেফতার করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement