দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপসহীন : মুন্না
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৪
দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপসহীন মন্তব্য করে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেছেন, ‘বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব ভারতের। তারা সে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশকে আপনারা প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে হবে। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই বাংলাদেশের বহিরাগত কোনো প্রভু নেই। আমরা বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিবেশীকে চিন্তা করি।’
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে ঢাকা থেকে আগরতলা লং মার্চ শেষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য দেশের জনগণ যেকোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছে। আমাদের কাছে বাংলাদেশই প্রথম। বাংলাদেশ আমাদের প্রাণের স্পন্দন। স্বাধীনতাযুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা ভারত সরকারকে বলেন, শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘এদেশে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব নেই। এ দেশের মানুষ ভারতের আগ্রাসী মনোভাব মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ। ভারতে বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর সময় সেখানে পুলিশ ছিল নীরব। আবার যদি পতাকা অবমাননা হয় তাহলে আমরা কঠোর জবাব দেবো। তারা আমাদের প্রতিবেশী দেশ, কিন্তু বন্ধু হতে পারেনি। তারা তিস্তার পানি না দিলেও ফেনী নদী থেকে পানি নিয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর থেকে তারা শোষণ করেছে। আমরা জামদানি কাপড় পাঠাই, ইলিশ পাঠাই। তারা আমাদেরকে ফেলানির লাশ দেয়।’
এ সময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
লং মার্চকে ঘিরে সীমান্ত এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ছিল। কাস্টমস এলাকা পর্যন্ত লোকজনকে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আখাউড়া স্থলবন্দরে গ্রাম পুলিশ, থানা পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা থেকে আসা লং মার্চের গাড়ি বহর আখাউড়ায় প্রবেশ করে। তবে যানজটের কারণে সব গাড়ি বন্দর এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি। সকাল থেকে অন্তত ১৫টি জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা আখাউড়া আসতে থাকেন। দুপুরে বন্দর এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠানের শুরু হয়। আগরতলা সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা, মিডিয়ায় অপপ্রচার, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এ লং মার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা