দেশের দিকে কেউ হাত বাড়ালে সে হাত ভেঙে দেবো : আবদুল হান্নান

দেশের দিকে কেউ হাত বাড়ালে সে হাত ভেঙে দেবো মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। অপরাধীর চোখের দিকে তাকিয়ে তাকে অপরাধী বলতে হবে। আমাদের দেশের মাটির প্রতি কোনো দেশ যদি হাত বাড়ায় সে হাত আমরা ভেঙে দেবো।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার পরিষদ মাঠে স্থানীয়দের উদ্যোগে আয়োজিত ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আবদুল হান্নান বলেন, ‘ভারত তার এজেন্ট শেখ হাসিনাকে মসনদে বসিয়ে দেশকে ধ্বংস করেছে। শুধু দেশকে ধ্বংস করে শেষ হয় নাই। দিল্লিতে বসে এখনো বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তার এ স্বপ্ন দু:স্বপ্নে পরিণত হবে।’

এ সময় তিনি দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা যে ষড়যন্ত্র করছেন সে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। যে দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসাথে বসে খায় একসাথে বসবাস করে সে দেশ কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারে না।

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করতে গিয়ে তিনি হাতিয়াবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে বৈষম্যবিরোধী লড়াই এখনো শেষ হয়নি। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

এ সময় স্থানীয় সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর সমালোচনা করে বলেন, ‘ফ্যাসিস্টের দোসর সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী নিজের রাজনীতির স্বার্থে যখন যাকে ইচ্ছে তাকে হত্যা ও নির্যাতন করেছে। তার মতের বিরুদ্ধে থাকায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনকে হত্যা করেছে। এলাকার মানুষ জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে।’

এছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের পর যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে। নতুন করে হাতিয়ায় আর কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। যেখানে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলবে সেখানে সবাইকে ঐকবদ্ধভাবে কাজ করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মাসউদ।

এ সময় হাতিয়া উপজেলা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।