চিন্ময়ের ঘটনায় আইনজীবী হত্যা : ৯ জন শ্যোন এরেস্ট, ৮ জনের রিমান্ড
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১৭
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় নয়জনকে শ্যোন এরেস্ট দেখিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এ নয় আসামি হলেন- রুমিত দাস, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস, মুন মেথর, রাজীব ভট্টাচার্য্য ও দুর্লভ দাস।
এরপর পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেফতার আট আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক।
এ আট আসামি হলেন পার্থ চক্রবর্তী, অপূর্ব শীল, উজ্জ্বল দাস, অপু চন্দ্র সাহা, নিলয় দাস, ধ্রুব দাস, দেলোয়ার হোসেন ও মো: নুরু।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান বলেন, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় নয় আসামিকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এরপর পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেফতার আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, দুই মামলার ১৭ আসামিকে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এরআগে আইনজীবী হত্যার আসামিদের পক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি নেজাম উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট সানজিদা গফুর ওকালতনামা দেয়ায় সাধারণ আইনজীবীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করেন। তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানান।
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বাধা দেন তার অনুসারীরা। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে ইসকন সমর্থকরা।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো চারটি মামলা হয়। পাঁচ মামলায় গ্রেফতার হন ৩৯ জন।