২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভিড়ল কয়লার জাহাজ, উৎপাদনে ফিরছে মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র - সংগৃহীত

মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা সঙ্কট কেটেছে। দ্রুতই উৎপাদনে ফিরছে প্রায় এক মাস বন্ধ থাকা কক্সবাজারের মহেশখালীর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

বুধবার ইন্দোনেশিয়া থেকে পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজ ৭০ হাজার টন কয়লা নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে ভিড়েছে।

মাতারবাড়ি কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানান, বুধবার বিকেলে জাহাজ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। মেঘনা গ্রুপের আমদানি করা এটিই প্রথম কয়লার চালান। কয়লার জোগান আসায় আগামী রোববার থেকে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুনরায় উৎপাদনে যাবে।

এর আগে কয়লা সঙ্কটে সংকটের কারণে গত ৩১ অক্টোবর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

৫৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৬০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুলাইয়ে উৎপাদনে আসে। বাকি ৬০০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি গত ডিসেম্বরে চালু হয়। কেন্দ্রগুলো কমিশনিং করার জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে ২২ লাখ পাঁচ হাজার টন কয়লা আমদানি করা হয়েছিল।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানায়, সুমিতমোর সরবরাহ করা কয়লা শেষ হওয়ার আগেই নিয়ম অনুযায়ী কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির দরপত্র আহ্বানের কথা থাকলেও শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে কয়লা ক্রয় আটকে যায়।

কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ‘তিন বছরের কয়লা সরবরাহের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট কনসোর্টিয়ামকে সুবিধা দিতে ১০ মাস দেরি করেন। শেষ পর্যন্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে কনসোর্টিয়াম অব বসুন্ধরা, ইকুইন্টিয়া ও অথ্রোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কয়লা আমদানিতে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন গত জুলাইয়ে। ফলে কয়লা আমদানিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।’

সব প্রক্রিয়া শেষ করে কয়লা আমদানিতে চলতি মাস পর্যন্ত সময় লেগেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। কেন্দ্রের কর্মকর্তারা আশা করছেন, তিন-চার দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে।


আরো সংবাদ



premium cement