টেকনাফে অপহৃত ২ মৎস্যব্যবসায়ী উদ্ধার, আটক ৩
- গোলাম আজম খান, কক্সবাজার অফিস
- ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৭
কক্সবাজারের টেকনাফ অপহৃত হওয়া দু’মৎস্যব্যবসায়িকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল মাঠপাড়া-সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন উখিয়া উপজেলার বালুখালি ৮ নম্বর ক্যাম্পের আবুল বাছেরের ছেলে মোহাম্মদ শামশু এবং বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পের আব্দুর শুক্কুরের ছেলে আনিছুল আলম।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ সাইফুল টেকনাফ পৌরসভার ইসলামাবাদ এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল মাঠপাড়ার মো: কবিরের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৫০) ও মো: রবিউলের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৩০)।
এর আগে সোমবার সকাল ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল মাঠপাড়ায় অটোরিকশা থামিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করা হয় দু’ব্যবসায়ীকে।
মোহাম্মদ শামশু ও আনিছুল আলম জানান, বালুখালি ক্যাম্প থেকে মাছ কিনতে তারা দু’জন টেকনাফে আসেন। টেকনাফ বাজারে মাছ না পেয়ে অটোরিকশাযোগে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর যাওয়ার পথেই তাদের ধরে নেয়া হয়। পরে তাদের কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয় পাহাড়ে। ওখান থেকে সাধারণ জনতা তাদের উদ্ধার করেছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, সোমবার ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করে স্থানীয় এক ব্যক্তি কৌশলে নিজের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ওই ঘটনার একটি ভিডিও ধারণ করেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। ভিডিওতে ওই ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের কয়েকজকে চেনা গেছে।
তারা হলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল মাঠপাড়ার বাসিন্দা কবির আহমদের ছেলে মজিব উল্লাহ ও শওকত উল্লাহ, লম্বরী এলাকার মোহাম্মদ কবিরের ছেলে মো: শহীদ, নতুন পল্লান পাড়ার নুরু সালামের ছেলে মো: হাশিম এবং হাতিয়ারঘোনা এলাকার নজির আহমদের ছেলে মো: নয়ন।
তিনি বলেন, বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করার পর পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় জনতাকে সাথে নিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় টেকনাফের অপহরণসহ অপরাধ রোধে জনতাকে একইভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, সাধারণ জনতার সহযোগিতায় দু’জনকে উদ্ধার এবং তিনজনকে গ্রেফতারের ঘটনায় মামলা করা হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভোক্তভোগীদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত একবছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪০ জন অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৯ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
টেকনাফ থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত টেকনাফ থানায় অপহরণের মামলা হয়েছে ১২ টি। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৫০ জন। এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ২০ জনকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা