২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

১৮ বছর পর রামগড়ে জামায়েতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ

১৮ বছর পর রামগড়ে জামায়েতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ - ছবি : নয়া দিগন্ত

খাগড়াছড়ির রামগড়ে বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার সিনেমাহল এলাকার শিল্পী কমিউনিটি হলে রামগড় উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

রামগড় জামায়াতে ইসলামীর আমির মোহাম্মদ ফয়জুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা জামায়েতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।

রামগড় উপজেলা জামায়েতের সেক্রেটারি মো: আনোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান বলেন, দেশ স্বাধীনের পরে বিভিন্ন সরকার আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে। স্বাধীনতার স্বপ্ন, অধিকারের স্বপ্ন, উন্নয়নের স্বপ্ন এবং মানুষের সুখ-সমৃদ্ধির স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। স্বপ্নের বাস্তবায়ন আমরা দেখি নাই।

তিনি আরো বলেন, পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা আমাদের এই সমাজে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা যদি বাস্তবায়ন করতে না পারি তাহলে এই শোষণে অবসান কোনো দিনও হবে না।

রামগড় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ১৭ বছরে জামায়াতে ইসলামীর উপর জুলুম এবং নির্যাতনের পাশাপাশি বিভিন্ন মিথ্যা এবং কাল্পনিক অভিযোগ আরোপিত হয়েছে। ইতিহাস বিকৃতি করে জামায়াতে ইসলামকে দায়ী করে দোষারোপের যে রাজনীতি চালু করেছিল আওয়ামী লীগ তা রামগড়েও বহাল ছিল।

তিনি আরো বলেন, রামগড় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ‘ঐতিহাসিক রামগড়’ ম্যাগাজিনে মুক্তিযুদ্ধকালীন রামগড়ে জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে বিভিন্ন বাড়ি-ঘরে অগ্নিকাণ্ড এবং হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বলে যে কাল্পনিক অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।

তিনি উপজেলা প্রশাসনকে ম্যাগাজিনটি প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট সম্পাদককে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় জেলা, উপজেলা ও পৌর জামায়াত এবং শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement