টেকনাফে ৩১ নারী-পুরুষ উদ্ধার, আটক ২ অপহরণকারী
- কক্সবাজার অফিস
- ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:০৯
কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারী চক্রের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ৩১ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছে র্যাব। সোমবার (১৮ নভেম্বর) গভীর রাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের হাতে আটক হয় দু’অপহরণকারী।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র সহকারী পরিচালক র্যাব-১৫ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবজিত পাল। তিনি জানান, গভীর রাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কচ্ছপিয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার হওয়া ৩১ নারী-পুরুষ ও আটক মানব পাচারকারী চক্রের দু’সদস্যকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশী, অন্য নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ২৬ জন বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাদের মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে গহীন পাহাড়ে নিয়ে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে চক্রটি।
তিনি জানান, ‘গত ১২ নভেম্বর উখিয়ার মোছার খোলা এলাকার একলাছ মিয়া ও তার চাচাতো ভাইসহ তিন বন্ধু কচ্ছপিয়া মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ঘুরতে যায়। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের পরিচয় জানতে চায়। পরে চোখ বেঁধে পাহাড়ের চূড়ায় একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় তাদের। সেখানে ৪০ থেকে ৫০ জন নারী পুরুষ দেখতে পায় তারা। একপর্যায়ে এখলাস মিয়া ও তার বন্ধুদের পরিবারের কাছে দু’লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। পরে মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় বন্দীসহ ১৫ জনকে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশে সাগরে অপেক্ষমাণ ট্রলারে তোলার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে র্যাব ওই আস্তানায় অভিযান চালিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুদের উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের দু’সদস্যকে আটক করে।
তিনি আরো জানান, অপহৃতদের অধিক বেতনে চাকরি ও অবিবাহিত নারীদেরকে বিবাহের মিথ্যা প্রলোভন দেখায়। এ সময় ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে যৌন নিপীড়ন, প্রতারণামূলক বিবাহ ও জবরদস্তিমূলক শ্রমে বাধ্য করার অভিপ্রায়ে পাহাড়ি আস্তানায় একত্রিত করে।
দেবজিত পাল জানান, তাদের মালয়েশিয়া পাচারের জন্য জোরপূর্বক আটক রাখার কথা স্বীকার করেছেন অপহরণকারীরা।