ফেনীতে ফুলকুঁড়ির সুবর্ণজয়ন্তীতে পুরস্কার পেলো শত শিশু-কিশোর
- ফেনী অফিস
- ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৫৪
ফেনীতে ফুলকুঁড়ির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শত শিশু-কিশোদের পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ফেনীতে ফুলকুঁড়ি আসরের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শিশু-কিশোর, অভিভাবক সমাবেশে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এর আগে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত মাইন্ড ম্যারাথন, রচনা, চিত্রাংকন, উপস্থিত বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজনে বিজয়ী হয় এ শিশু-কিশোররা।
ফুলকুঁড়ি ফেনী শাখার প্রধান উপদেষ্টা ও ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ এনামুল হক খন্দকার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শাখা পরিচালক ওবায়দুল্লাহ আশ্রাফের ব্যবস্থাপনায় ও অফিস সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ মাসুমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইসমাইল হোসেন। প্রধান আলোচক ছিলেন ফুলকুঁড়ির কেন্দ্রীয় আসরের সহকারী প্রধান পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সাইদুর রহমান, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সোমেন মণ্ডল, জেলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো: আব্দুল মজিদ।
প্রফেসর মোহাম্মদ এনামুল হক খন্দকার বলেছেন, ‘শিক্ষা মানে হলো দেহ, মন, আত্মার সমন্বিত উন্নয়ন। আজ আমরা শিক্ষা বলতে বুঝি, কোনো রকমে পুঁথিগত সিলেবাস মুখস্ত করে ভালো ফলাফল করা। সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রশাসক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী বানাতে চায়। অথচ আগে ভালো মানুষ রূপে গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই নৈতিক শিক্ষা দিতে না পারার কারণে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রকৃত মানুষ হতে পারেনি। মানুষের মধ্যে মানবিক ও পাশবিক স্বত্তা রয়েছে। পাশবিক স্বত্তাকে অবধমিত করার মাধ্যমে মানবিক শিক্ষাকে বিকশিত করতে পারাটাই হলো মূল শিক্ষা।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করতে হবে। সৎ ও নৈতিক গুনাবলী বিকশিত করে পরিপূর্ণ আদর্শ মানুষ রূপে গড়ে তুলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ফুলকুঁড়িদের গান, কবিতা, অভিনয় ইত্যাদি সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুখরিত হয়ে ওঠে।