ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংঘর্ষে নিহত ১
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে গভীর রাতে দুইপক্ষের সংঘর্ষে সিদ্দিক মোল্লা নামে (৮০) বছরের এক বৃদ্ধ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সিদ্দিক মোল্লা সোনাতলা গ্রামের মরহুম আব্দুল জব্বারের ছেলে।
সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৭ মে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সালামের মেয়ে শাহিনুর বেগম একই গ্রামের সাইফুল মিয়াকে পালিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু শাহিনুরের বাবা এ বিয়ে মেনে নেননি। সম্পর্কে সাইফুল ও শাহিনুর চাচা-ভাতিজি। বিয়ের কয়েক মাস পর পরিবারিক চাপে সাইফুলকে ডিভোর্স দেয় শাহিনুর। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাহিনুরের বাবাকে মারধর করে সাইফুল। এর জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এর ফলে সালাম নাসিরনগর থানায় একটি মামলাও করেন।
মামলার পরিপেক্ষিতে পুলিশ মঙ্গলবার গভীর রাতে আসামি ধরতে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে সিদ্দিক মোল্লা আহত হন। পরে আহত অবস্থায় নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহির হোসেন বলেন, ‘সোনাতলা গ্রামটি চরের মধ্যে। সালামের করা একটি মামলায় আসামি ধরতে আমরা সেখানে যাই। এ সময় এক পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের লোকদের ওপর হামলা করে। প্রায় দুই ঘণ্টা উভয়পক্ষের এ সংঘর্ষ চলে।’
সাইফুল মিয়া বলেন, ‘প্রেম করে সালামের মেয়েকে বিয়ে করি। বিয়ের কিছুদিন পর সালাম তার মেয়েকে জোর করে ডিভোর্স দেয়ায়। এ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মাদক মামলা করে। ওই মামলায় পুলিশ আমাদের ধরতে আসে। তাদের নিয়ে আসা পুলিশের সামনে আমার দাদাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে সালাম মিয়া বলেন, ‘সাইফুল ও তার পরিবারের লোকজন মাদককারবারি। মাদককারবারির প্রতিবাদ করায় আমার মেয়ের নামে বিয়ের মিথ্যা কাবিন বানিয়ে সামাজিকভাবে আমাকে সম্মানহানী করেছে। আমাকে কয়েকবার মারধরও করা হয়েছে। ওই ঘটনায় থানায় মামলা করি। রাতে আসামি ধরতে গেলে পালাতে গিয়ে আহত হয় সিদ্দিক মোল্লা। নৌকা দিয়ে নাসিরনগর আনার সময় নিজেরা গলা টিপে হত্যা করে তাকে। আর ওই হত্যার দায় চাপাচ্ছে আমাদের ওপর।’
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুল কাদের বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা দীর্ঘ দিনের। সংঘর্ষ ও এক বৃদ্ধের মৃত্যুর বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা