জামায়াত দেশকে কল্যাণরাষ্ট্র করার পরিকল্পনায় অগ্রসর হচ্ছে : রেজাউল করিম
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:১০
জামায়াত দেশকে কল্যাণরাষ্ট্র করার পরিকল্পনায় অগ্রসর হচ্ছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ নেই বরং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে অবিচল থাকতে হবে। তাই দ্বীনের পূর্ণাঙ্গ বিজয় হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ময়দানে অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে।
রোববার (৩ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুরে লাহারকান্দি ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবু শরীফ ইয়াকুবের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক হোসাইন নুর নবী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাছির উদ্দিন মাহমুদ, শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান, লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মোহাব্বতসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘২০০৮ সালের পাতানো ও ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী সরকার দেশে নির্বিচারে হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য চালিয়ে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র দেড় মাসের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সাহসী, মেধাবী ও চৌকস সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা জড়িত।’
তিনি বলেন, ’আওয়ামী লীগ কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে জাতীয় নেতাদের একের পর এক হত্যা করে দেশের মানচিত্রকে রক্তাক্ত ও কলুষিত করেছে। ৫ মে হেফাজতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশেও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। তাই এই বিজয়ের ফসল পুরোপুরি ঘরে তুলতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জামায়াতের সকল স্তরের জনশক্তিকে সব সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদীরা রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিচার বিভাগ, ব্যাংক-বীমাসহ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, জনপ্রশাসন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী শাসনামলে অসংখ্য হত্যাকাণ্ড, অন্যায়-অবিচার হয়েছে। বাংলার মানুষ এর বিচার করবে, ইনশাআল্লহ।
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতার দাবি ছিল একটা বৈষম্যহীন ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গড়ার। সেই বাংলাদেশ গড়ার জন্য জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তিকে কুরআন-হাদীসের আলোকে জীবন গড়ার পাশাপাশি অসহায়, নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকে তাদেরকে সার্বিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্যও আহ্বান জানান।