২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সীতাকুণ্ডে বিএনপি-জাতীয় পার্টির হামলায় জামায়াতের ১৪ নেতা-কর্মী আহত

- ছবি : নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মসজিদ কমিটিকে গঠনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির যৌথ হামলায় জামায়াতের ১৪ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বাড়বকুণ্ডের মাহমুদাবাদ জামে মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে মো: ফারুক নামে এক জামায়াতকর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল কবির দিদার দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ দখলে নিয়ে কোনো উন্নয়ন কাজ না করায় এলাকাবাসীর সাথে দ্বন্দ্ব তৈরী হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দিদারকে সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী ও জামায়াতকর্মীরা অনুরোধ করে। তখন বিএনপির লোকজন দিদারের পক্ষে অবস্থান নেন। এ সময় দিদারুল কবির ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও জাতীয়পার্টির নেতা-কর্মীরা জামায়াতেরকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে চারজন গুরুতর আহত ও আরো ১০ জন আহত হয়।

বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মো: মঞ্জু বলেন, ‘দিদারুল কবিরের নেতৃত্বে বিএনপির ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জামায়াত নেতা-কর্মীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় জামায়াতকর্মী ফারুককে চমেকে নেয়া হয়েছে। এছাড়া আবু সুফিয়ান, পারভেজ ও হাসানসহ আরো ১৪ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।

বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এটা কোনো দলীয় বিষয় নয়। সবাই কোনো না কোনো দলের সমর্থন করে, এই কারণে হয়তো দলের নাম চলে এসেছে। এখানে মূলত মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। জামায়াত নেতাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা বসে মীমাংসা করে নিব।’

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দিদারুল কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ‘বাড়বকুণ্ডের মারামারি ঘটনাটি আমরা অবগত হয়েছি। এটা নিয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি।’


আরো সংবাদ



premium cement