২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শহীদের রক্ত ও আত্মত্যাগেই ইসলামী আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত করবে : শাহজাহান

- ছবি : নয়া দিগন্ত

শহীদের রক্ত ও আত্মত্যাগেই ইসলামী আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত করবে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ‘জেল, জুলুম ও নির্যাতন করে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করা যাবে না। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা আগামী দিনে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ইসলামের পক্ষে বিজয় নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কর্ণফুলী ক্রসিংয়ের এস আর স্কয়ার কমিউনিটি হলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত, পঙ্গু ও কারা নির্যাতিত ভাইদের সম্মানে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমির অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘মজলুমদের উপর যে যত বেশি জুলুম করে তার তত বেশি অধঃপতন হয়। ঠিক তেমনি ফ্যাসিবাদী ও জুলুমবাজ সরকার হাসিনাও সারা দুনিয়ার কাছে কলঙ্কিত হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। হাসিনার এই দেশত্যাগ মূলত শহীদ ও পঙ্গুদের রক্তের বিনিময়ে সম্ভব হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘চট্টলার মানুষ সারা বাংলার মানুষের কাছে প্রেরণা তৈরি করেছে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা বাংলাদেশকে ইসলামের শত্রুদের হাতে ছেড়ে দিতে পারে না। শহীদেরা কখনো মৃত্যুবরণ করে না, তারা বার বার দুনিয়ায় এসে ইসলামের জন্য প্রাণ দিতে আহাজারি করে। আমরা প্রতিশোধ গ্রহণ করতে চায় না। বাংলাদেশকে ইসলামের বাংলাদেশ হিসেবে গঠন করার মধ্যমেই প্রতিশোধ নেয়া হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নগর আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘শহীদ ভাইদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলছি, আল্লাহ ছাত্র-জনতার মাধ্যমে আপনাদের রক্তের বদলা দিয়েছেন। ফ্যাসিবাদী সরকার অনেক চেষ্টা করার পরও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার ইসলামী আন্দোলনকে দমাতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে আজও যারা ষড়যন্ত্র করার চিন্তা করছেন, তাদের আর ছাড় দেয়া হবে না। লুটতরাজ শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। অথচ তারা ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে বলে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। জামায়াতে ইসলামী ছাড়া সবাই দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি করার পরিকল্পনা করে ক্ষমতায় যেতে চায়। তাই আজকের কোটি কোটি জনতা জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক জাফর সাদেক বলেন, ‘শহীদেরা জীবিত। শহীদদের মৃত্যু হয় না। আজ শহীদদের রেখে যাওয়া কাজ বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আঞ্জাম দিতে হবে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা অতীতেও কর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে ভূমিকা রেখেছিল। ভবিষ্যতেও আরো উর্বর হবে, ইনশাআল্লাহ।’

সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘শহীদদের ত্যাগ আজীবন ধরে রাখার চেষ্টা করতে ইসলামী আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আহ্বান জানান।’

জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাছের, ছাত্র শিবির চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা আইয়ুবুল ইসলাম, লোহাগাড়া উপজেলা আমির অধ্যাপক আসাদ উল্লাহ ইসলামাবাদী, বাঁশখালী উপজেলা আমির ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা, সাতকানিয়া উপজেলা আমির মাওলানা কামাল উদ্দিন, কালারপুল সাংগঠনিক থানা আমির মাস্টার নাছির উদ্দীন, সাঙ্গু থানার আমির ডা. আব্দুল জলিল, কর্ণফুলী উপজেলা আমির মাস্টার মনির আবছার, সাতকানিয়া পৌরসভা আমির মুহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, শহীদ সালাউদ্দিনের বড় ভাই মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া ও আন্দোলনে আহত কামাল উদ্দিন প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement