ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মুহুরীগঞ্জ বাজারে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার যাওয়ার পথে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় নাছির উদ্দিন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম তাকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার রাতে উপজেলার চম্পকনগর গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার নাছির শুভপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও চম্পকনগর গ্রামের মরহুম মজিবুল হকের ছেলে।

গত ৯ অক্টোবর ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ সিকান্দার ভূট্টো বাদি হয়ে ২৫১ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী পাপ্পু, ফেনী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার মজুমদার তপন, পরশুরাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, পরশুরাম পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার ও আবদুল আলিম, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ছাগলনাইয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এম মোস্তফা, ঘোপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম, রাধানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মজুমদার, মহামায়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান মিনু, সাবেক চেয়ারম্যান গরিব শাহ হোসেন বাদশা চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বুলবুল, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা ইমাম হোসেনের নাম রয়েছে।

সুলতান মোহাম্মদ সিকান্দার ভূট্টো জানান, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছাগলনাইয়া উপজেলার মুহুরীগঞ্জ বাজারে পৌঁছলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে, গুলি করে এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালায়। এ সময় ২৫-৩০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকে গুরুতর আহত হন। হামলার ঘটনায় প্রায় এক কোটি পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।