২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আনোয়ারায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কা

ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কা - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঘূর্ণিঝড় দানার পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকেই আনোয়ারায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাদের আশঙ্কা ঘূর্ণিঝড় দানা আঘাত হানলে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে সবকিছু প্লাবিত হবে।

আজ শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা, বানিয়ার দিঘি, ফকির হাট, ঘাটকুল ও উঠান মাঝির ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আমিন শরীফ বলেন, ‘সাগরে নিম্নচাপের প্রভাব হলে শঙ্খ নদী ও বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের উচ্চতা বাড়ে। জোয়ারের সময় বাঁধের কানায় কানায় পানি ওঠে। ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক ও ঝুঁকিপূর্ণ। এলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি টেকসই বেড়িবাঁধ। এলাকাবাসীর জোরালো দাবি সত্ত্বেও এখনো টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। যার কারণে দুর্যোগ এলেই আতঙ্কে বুক কাঁপে আনোয়ারা উপকূলবাসীর।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ‘আনোয়ারা উপকূলের পাঁচ দশমিক ১৭৫ কিলোমিটার স্থায়ী বেড়িবাঁধ রক্ষায় ৩৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। গত ২৮ মে তৎকালীন সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ বরাদ্দ অনুমোদন হয়। এর মধ্যে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে দু’ দশমিক ৭৭৫ কিলোমিটার ও জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নে দু’ দশমিক ৪০০ কিলোমিটার বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ ও নদীর তীর সংরক্ষণ করা হবে। উপকূলের পানি ব্যবস্থাপনা ও ভাঙনরোধের এ প্রকল্পটির কাজ আগামী ২০২৭ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রকল্পটি থাকছে নাকি বাতিল হচ্ছে, এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।’

চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শহীদ বলেন, ‘ভাঙনের বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। তবে সরকার বদলের পর জরুরি ভিত্তিক কাজের কোনো নির্দেশনা আসেনি। এ পরিস্থিতিতে কোনো ঠিকাদার কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। তারপরও কি পদক্ষেপ নেয়া যায় তা চেষ্টা করছি।’


আরো সংবাদ



premium cement