জামায়াত মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করছে : ড. রেজাউল করিম

জামায়াত মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা বন্যাদুর্গত মানুষের পুনর্বাসনের জন্য সীমিত সামর্থ নিয়ে এগিয়ে এসেছি। এতে কেউ ন্যুনতম উপকৃত হলে আমাদের শ্রম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব। আর্ত-মানবতার কল্যাণ ও মুক্তির জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্ববান জানান তিনি।’

শনিবার (১৯ অক্টোবর) লক্ষ্মীপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চন্দ্রগঞ্জ উপজেলা শাখা আয়োজিত বন্যাদুর্গত ৩৫০ পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে থানা আমির মোস্তফা মোল্লার সভাপতিত্বে নয়েবে আমির নূর মোহাম্মদ রাসেল, সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম খান সুমন, মান্দারী ইউনিয়ন আমির আব্দুল খালেক, সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, ইউপি সদস্য কাউসার হামিদসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি রেজাউল করিম বলেন, ‘আর্ত-মানবতার কল্যাণ ও মুক্তিই জামায়াতের রাজনৈতিক দর্শন। মূলত, প্রত্যেক নাগরিকের দুর্দশা লাঘবসহ সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু দেশে কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না থাকায় জনগণ রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কিন্তু রাষ্ট্রের শূন্যতা ব্যক্তি ও সাংগঠনিক পর্যায়ে সমাধান করা সম্ভব নয়। আমাদের সাধ অনেক হলেও সাধ্য খুব সীমিত। তবুও আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে মানুষের কল্যাণে, মানুষের সাথে থাকার চেষ্টা করছি। দেশে ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত থাকলে রাষ্ট্রীয়ভাবেই মানুষের সকল সমস্যার সমাধান করা হতো। লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষের কাছে হাত পাততে হতো না। তাই গণমানুষের সকল সমস্যার সমাধান ও অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দেশকে ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার কোনো বিকল্প নেই। তিনি সেই স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।’

তিনি বলেন, ‘জামায়াত একটি গণমুখী ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক সংগঠন। আমরা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা এমন এক সমাজ কায়েম করতে চাই, যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। সমাজে উঁচু-নিচু, ধনী-গরিব, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কাউকে লাঞ্ছিত বা অপমানিত করা হবে না। সর্বোপরি ইসলাম মানুষের যেসব মৌলিক অধিকার দিয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হবে। সকলেই তাদের অধিকারের নিশ্চয়তা পাবেন। তিনি একটি আদর্শিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ময়দানে কাজ করার আহ্বান জানান।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি