২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ঘটবে : নোবিপ্রবি ভিসি

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন নোবিপ্রবি ভিসি - ছবি : নয়া দিগন্ত

কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ঘটবে বলে মন্তব্য করে নোবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘গবেষণা ও সম্প্রসারণ কর্মীদের যৌথ প্রচেষ্টায় কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়ন ঘটবে।’

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) নোবিপ্রবির মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে কক্সবাজার জেলার চৌফলদন্ডীতে দিনব্যাপী এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে ৬০ জন কাঁকড়া চাষী অংশ নেয়।

ভিসি বলেন, ‘কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে এবং নিজেদের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদাও মেটাতে পারবে।’

এ সময় প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাসটেইনেবল কোস্টাল মেরিন ফিসারিজ প্রকল্পের পরিচালক জনাব জিয়া হায়দার চৌধুরী, কক্সবাজার জেলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব মো: বদরুজ্জামান ও প্রকল্পের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ শরিফুল আজম।

এ সময় স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় খামারে উৎপাদিত কাঁকড়ার আংশিক আহরণ অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার ও সাতক্ষীরার ১০০ জন চাষী গত এক বছর ধরে কাঁকড়া চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। এ গবেষণায় হ্যাচারীর পোনা দিয়ে কাঁকড়ার লালন পালন এবং নতুন সম্পূরক খাবার তৈরি করে তা দিয়ে লালন পালন করা হয়। মৎস্য অধিদফতরের আওতায় সাসটেইনেবল কোস্টাল মেরিন ফিসারিজ প্রকল্পের অর্থায়নে নোবিপ্রবির মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও সাতক্ষীরার উপকূলে এ গবেষণা পরিচালনা করছে।


আরো সংবাদ



premium cement