লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে গুলি ও ৩ হত্যাকাণ্ডে হাসিনাসহ ৩৫ জনের নামে মামলা
- লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
- ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:২৫
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে গুলি ও তিন হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর। ঘটনার ১০ বছর ১০ মাস ৪ দিন পর মামলাটি করা হলো।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু।
বাদির আইনজীবী আহমেদ ফেরদৌস মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান মামলাটি আমলে নিয়েছেন। তিনি মামলাটি এফআইআর নেয়ার জন্য সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিকী, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুল হক, র্যাবের সাবেক এডিজি মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, তৎকালীন এআইজি মাহফুজুর রহমান, সাবেক লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, র্যাব-১১-এর ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর মোহাম্মদ আরিফ, ল্যাফটেন্যান্ট কমান্ডার রানা, ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের ছেলে ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু, আনোয়ার সাদাত শিবলু, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়াসহ ৩৫ জন।
এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু উত্তর তেমুহনীস্থ বাসায় র্যাব হামলা চালায়। এসময় তিনি বাসার পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বাইরে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকা তাহেরপুত্র টিপু, শিবলু ও যুবলীগ নেতা বায়েজীদের কারণে তিনি পালাতে পারেননি। পরে র্যাবের তারেক সাঈদ, আরিফ ও রানাসহ অভিযুক্তরা তাকে মারধরে করে। একপর্যায়ে তার ডান পায়ে উরুতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে তিনি প্রাণে রক্ষা পান। একইদিন জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ জুয়েল, বিএনপি কর্মী মাহবুব ও শিহাবকে গুলি করে হত্যা করে। শেখ হাসিনার নির্দেশে সেদিন হামলা চালিয়ে বাদিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার সাথে অভিযুক্ত সবাই জড়িত রয়েছে।
বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন সাবু বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়ে আমি প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। পরে প্রাণ রক্ষায় দেশ-বিদেশে পালিয়েছিলাম। তখন মামলা করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু মামলা করতে পারিনি। দীর্ঘ ১০ বছর ১০ মাস পর অবশেষে আমি মামলা করতে সক্ষম হয়েছি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা