কুমিল্লায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তরুণ খুন
- কুমিল্লা প্রতিনিধি
- ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫৫
কুমিল্লায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক তরুণ খুন হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এর আগে জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণ বাবুল মিয়া (২৭) সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দিনমজুর ছিলেন। বাবুলের আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সাতেশ্বর গ্রামের একটি বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন ওরফে হৃদয় মিয়া। অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাড়ির শিশুদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাসহ স্থানীয় লোকজনের সাথে অটোরিকশাচালক হৃদয়ের হাতাহাতি হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার একটি দোকানের সামনে সালিস বৈঠক বসে। গ্রামের লোকজন দু’পক্ষকে মিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা সুমন, রুবেল, অন্তর, রিপন ও আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। তারা অপর পক্ষের ওপর হামলা করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। তাকে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির হোসেন, এমরান হোসেনসহ পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার সাথে থাকা ব্যক্তিদের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে ১০ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি ও বাবুলকে ছুরিকাঘাত করা সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা